নাটোর কারাগারে অসুস্থ বিএনপি নেতার রামেকে মৃত্যু

নাটোর কারাগারে অসুস্থ হয়ে ৯ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ কে আজাদ সোহেল নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপি’র ওই নেতা। এ কে আজাদ সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ন্দহ ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংড়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লেলিন জানান, গত ১৮ই নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর নাটোর কারাগারে পাঠায় তাকে।

তিনি বলেন, ৩০শে নভেম্বর আদালত তাকে জামিন দেয়। পরে কারাগারে নিয়ে আসতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায় এ কে আজাদ অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে প্রেরণা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সোহেলকে রাজশাহী মেডিকেলের বারান্দায় বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পরে কারা কর্তৃপক্ষের মারফতে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় ভাই শামীম হোসেন বলেন, বিনা অপরাধে আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নাটোর জেলে অসুস্থ হয়ে রাজশাহীতে আজ দুপুরে মারা যান তিনি।

তিনি বলেন, মরদেহ এখনো হাসপাতালেই আছে। লাশ বের করতে পারলে আগামীকাল জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পরে স্ট্রোক করেন। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে জেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন বিএনপি’র এই নেতা।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মো. মোশফিকুর রহমান জানান, ২১শে নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তাররা তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করলে আমরা তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেই। সে রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিল। নিহত এ কে আজাদ সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হরহামেশাই অনেকে এরকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় পরিবারকে খবর দেয়া তখন হয়তো জরুরি মনে হয়নি।

মানব জমিন