বিএনপির সমাবেশের কারণে নয়া পল্টন এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে এলেও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তা স্বীকার করেনি।
শুক্রবার সকালে ২০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থীর এসএসসির ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। আর বিকালে পল্টনে বিএনপি এবং গুলিস্থানে আওয়ামী লীগের সহযোগী তিন সংগঠনের সমাবেশ হয়।
রাজধানীর ইস্কাটন, মগবাজার কিংবা রমনা এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে স্লো নেটওয়ার্কের বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। দুপুরের পর নয়া পল্টন এলাকাতেও একই অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিএনপির সমাবেশের কারণে নয়া পল্টন এলাকায় মোবাইলের থ্রিজি ও ফোরজি ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর এলেও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তা স্বীকার করেনি।
বিটিআরসি সচিব মো. নূরুল হাফিজ বলেন, “এটা হতে পারে। এক জায়গায় লাখ লাখ মানুষ, একই সময়ে ফোন করে স্বাভাবিকভাবে অন্য সময়ের তুলনায় নেটওয়ার্ক একটু স্লো হবে। আমাদের এখান থেকে (নেটওয়ার্ক স্লো/বন্ধ রাখার) কোনো ধরনের কোনো বিষয় নেই। বিটিআরসি থেকে আমরা বরং নেটওয়ার্ক ভালো রাখার ব্যাপারে কাজ করি।”
“আরেকটা বিষয় হচ্ছে- আজ এসএসসির রেজাল্ট দিয়েছে। এবার এসএসসিতে প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী ছিল। ফলাফলকে কেন্দ্র করে তারা কিন্তু তাদের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। এ কারণে এমনিই নেটের গতিটা কম।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আগেও অভিযোগ করেছিলেন, সরকার ‘ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ এবং শাটডাউন করে’ বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা করছে।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, সরকার ‘কোনোভাবেই’ ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে না।