Site icon The Bangladesh Chronicle

নতুন শিক্ষানীতি দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধবিরোধী: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীফাইল ছবি

নতুন শিক্ষানীতি দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নতুন এ শিক্ষানীতি ও কারিকুলামের বাস্তবায়ন হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা ও কারিকুলাম নিয়ে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন বলে জানানো হয়।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই গণতন্ত্র ও বাক্স্বাধীনতা হরণ করা হয়। শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজানো হয়, যাতে নতুন প্রজন্মকে তাদের তাঁবেদার বানানো যায়। সর্বজনীনের বদলে কোনো একটি দেশের শিক্ষাক্রম অনুকরণ করে জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষা সিলেবাস জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষানীতি ও কারিকুলামের মাধ্যমে বিজ্ঞানশিক্ষার সংকোচন করা হয়েছে। ধর্মশিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রয়াসকে চূড়ান্তভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।

৭ জানুয়ারিকে বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদিন একদলীয় নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশে গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর বর্বরতম নির্যাতন চালানো হয়। মসনদ দীর্ঘায়িত করতে লোকদেখানো ‘আমরা ও মামুরা’ নির্বাচনের রংতামাশা করা হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বিচার আজ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একজন জন্মান্ধ ব্যক্তিও পুলিশের নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পায়নি। অথচ এই করিৎকর্মা পুলিশ গত এক যুগেও আদালতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার একটি প্রতিবেদন পর্যন্ত দাখিল করতে পারেনি।

এ সময় রিজভী বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত চার দিনে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে। আসামি করা হয়েছে প্রায় ১১৭ নেতা-কর্মীকে।

প্রথম আলো

Exit mobile version