এ যেন নতুন মোড়কে পুরনো ভারত দল। কোনো দ্বিধা নেই, সংশয় নেই; দলটা নির্ভার, দুঃসাহসী। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা যে নেই, তা মনেই হয়নি। নেতৃত্বের পরীক্ষায় প্রথম দিনেই পাশ শুভমান গিল।
অধিনায়কের মতোই পথ দেখিয়েছেন শুভমান। সাথে পেয়েছেন যশস্বী জয়সাওয়ালকেও। দু’জনেই হাঁকান সেঞ্চুরি। ফিফটিও আছে দু’টি। সব মিলিয়ে লিডস টেস্টের প্রথম দিনেই ভারত তুলেছে ৩ উইকেটে ৩৫৯ রান।
কত সংশয়, দ্বিধা, প্রশ্ন- কোহলি, রোহিতদের ছাড়া নতুন রূপের এই ভারত দল পারবে তো মান রাখতে? খেলতে হবে আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, তাদের মাটিতে। তবে সেসব চাপ ছুয়ে যায়নি তাকে।
পঞ্চম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে অধিনায়কত্বের অভিষেকেই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন শুভমান। বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাস্কার, দিলীপ ভেংসরকার ও বিরাট কোহলির পরেই আছেন তিনি।
শুভমান প্রিয় পজিশন ওপেনিং ছেড়ে দিয়েছেন অন্যদের জন্য। তবে চারে নেমেও রান পেতে সমস্যা হয়নি তার। ১৭৫ বলে ১২৭ রানে অপরাজিত থেকে শেষ করেছেন দিন। ইনিংসটা নিশ্চয়ই আরো বড় হতে চলেছে।
যশস্বী জয়সাওয়ালের সাথে এদিন ওপেন করতে আসেন লোকেশ রাহুল। ভালো শুরু করেও রাহুল অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৯১ রানের জুটি ভেঙে ফেরেন ৪২ রান করে।
তিনে নেমে রানের খাতা খোলা হয়নি সাই সুদর্শনের, চার বল খেলে ফেরেন ০ রানে। এরপরই হাল ধরেন শুভমান, সাথে পান জয়সাওয়ালকে। দু’জনে মিলে খেলতে থাকেন ওয়ানডে মেজাজে, রান আসে দ্রুত গতিতে।
৯৬ বলে প্রথম ৫০ আসলেও ১৪৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়সাওয়াল। অন্যদিকে মাত্র ৫৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন ভারতীয় অধিনায়ক। জুটি ভাঙে ১৬৩ বলে ১২৯ রানে, জয়সাওয়াল ফেরেন সেঞ্চুরি করেই, ১০১ রানে।
জয়সাওয়াল ফেরার পর ভারতের হাল ধরেন শুভমান ও রিশাভ পান্ত। তাদের দু’জনের ব্যাটেই ভর করে এগিয়ে যায় ভারত। ১৪০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল। ৯১ বলে ফিফটি তুলে নেন পান্ত।
দিন শেষ হওয়ার আগে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ১৯৭ বলে ১৩৮ রান। শুভমান ১২৭ ও পান্ত অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে। স্বাগতিকদের হয়ে ২ উইকেট নেন স্টোকস।