Site icon The Bangladesh Chronicle

দেশ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন ফখরুল

??????????????????????????????????????????????????????????????????

দেশ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন ফখরুল – ফাইল ছবি

বর্তমান এই ‘অচলাবস্থা’ থেকে দেশ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং সবাইকে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করছি। সব রাজনৈতিক দলকে একখানে করে, জোট না হোক আমরা যুগপথ আন্দোলন করে বেরিয়ে আসতে পারি কি-না সেই চেষ্টা আমরা করছি।’

রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে মরহুম জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। এই করোনা নিয়ে তারা প্রথম থেকেই ব্যবসা শুরু করেছে। তাদের উপদেষ্টা সাহেবের কথায় অগ্রিম প্রায় ৭ শ’ কোটি টাকা দিয়ে তিন কোটি টিকা এনেছে। এখনো দেড় কোটি টিকাও পায়নি। তারা এটা জেনেশুনেই করছে।

রাশিয়া ও চীনের টিকার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, দেখুন কী রকম কাজ করছে। কিছু জন্তু আছে পানি খায় ঘোলা করে। চীন যখন এসে বললো, আমার সাথে চুক্তি করো, তারা করলো না। রাশিয়া এসে বললো, আমি দেবো, চুক্তি করো। করলো না। এখন চীন আর রাশিয়ার কাছে গিয়ে ধরনা দিচ্ছে। চীন বলছে, মিথ্যা কথা বলেন কেন? আপনাদের সাথে তো কোনো চুক্তিই হয়নি। এটাকে কী বলবে?

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। তিনি সফল হয়েছেন, এই দেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। এটা সফলতা। সেই জন্য এই সরকার জানে বেগম জিয়া হচ্ছেন সেই ব্যাবিলনের বংশিবাদক। যিনি বাইরে বের হলে বাঁশি বাজাতে শুরু করবেন। আর লাখ লাখ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে। দ্যাটস দ্য রিয়েলিটি। এজন্য তাকে তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে, এখনো তিনি গৃহবন্দি।

২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, একটা বাজেট দিয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের জন্য এটা খুবই ভালো বাজেট হয়েছে। ছয় কোটি মানুষ এখন দারিদ্র্য সীমার নিচে। কোথায় তাদের জন্য তো কিছু করেনি। আমরা বারবার করে বলেছিলাম, ১৫ হাজার টাকা করে তিন মাসের জন্য এই মানুষগুলোকে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। খুব বেশি কিছু হতো না। কত টাকা লাগতো। কেন দিলেন না?

তিনি বলেন, কাকে টাকা দিচ্ছে? তেলামাথায় তেল দিচ্ছেন। ওই বড় বড় শিল্পপতি, গার্মেন্টস মালিককে দিচ্ছেন, যারা আপনাদের সাথে জড়িত তাদেরকে দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের কেন প্রণোদনা দিচ্ছেন না। আমি জানি, অনেক সাংবাদিক ৩ থেকে ৪ মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না। রিকশাশ্রমিক ভাই, ছোট চাকরিজীবী কোনো প্রণোদনা পাচ্ছে না।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

Exit mobile version