Site icon The Bangladesh Chronicle

দেশ ছাড়লেন সেই ‘পাইলট’ সাদিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
এপ্রিল ৭, ২০২৩
ঢাকা: শিক্ষাসনদ জালিয়াতি ও মানবিক বিভাগে পড়ে পাইলট হওয়া সেই সাদিয়া দেশ ছেড়েছেন। অনিয়মের কারণে পাইলট সনদ হারানোর পর তদন্ত চলাকালীন দেশ ছাড়লেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এ পাইলট।
জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ বিমানকে ই-মেইলে চিঠি দিয়ে তিনি দেশ ত্যাগের কথা জানান। সেই ই-মেইলে তিনি দেশে নেই এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে বিমান কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

বাংলাদেশ বিমানের একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, জাল শিক্ষাসনদ জমা দেওয়ার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ ঘটনার তদন্তও করছে সংস্থাটি।

এর আগে গত মার্চ মাসের শেষের দিকে বেবিচকের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, সাদিয়া আহমেদ কোনো ফ্লাইট চালাতে পারবেন না। তাকে ইতিমধ্যে গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। এখন আমরা তার সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

প্রসঙ্গত, বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছিলেন। অথচ, বেবিচকের নির্দেশিকায় বলা আছে, বাণিজ্যিক পাইলটদের অবশ্যই এইচএসসি (বিজ্ঞান) বা বাধ্যতামূলক পদার্থবিদ্যা এবং গণিতের সঙ্গে সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

কিন্তু, তথ্য বলছে তিনি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীন শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছিলেন। কিন্তু তিনি যে সনদ জমা দেন, তাতে দেখা যায় তিনি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছেন। সাদিয়া বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী। অভিযোগ ছিল ক্যাপ্টেন সাজিদ নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেন। আলোচিত এই ঘটনায় চাকরিচ্যুত হন সাজিদও।

>> মানবিকে পাস করেই বিমানের পাইলট!

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
এমকে/এমজে

Exit mobile version