Site icon The Bangladesh Chronicle

দেশে ফিরে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন সম্রাট

 

ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক

০২ আগস্ট ২০২৩

https://www.ittefaq.com.bd/654215

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার আসামি যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট বিদেশ যাওয়ার অনুমতি বাতিলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। চিকিৎসা শেষে নির্ধারিত সময়ে দেশে ফিরে এসে সম্রাট পাসপোর্ট জমা দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।

বুধবার (২ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এসময় দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী।

বুধবার সকালে সম্রাটের আইনজীবী লিখিতভাবে হাইকোর্টকে জানান, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গত ১৫ জুলাই সম্রাট কলকাতায় যান। চিকিৎসা শেষে ২৪ জুলাই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেন। গত ১৩ জুলাই এই অনুমতির আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। গত ১৬ জুলাই এ বিষয়ে শুনানি ছিল উচ্চ আদালতে। এর আগের দিন রাতেই তিনি ভারতে চলে যান।

দুদকের জামিন বাতিল চেয়ে করা আবেদনের দিন সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা বলেছিলেন, তার মক্কেল (সম্রাট) কিডনিসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আগেই আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেয়ার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী আফরোজা আরো বলেন, তবে আদালত শর্ত দিয়েছেন, পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সম্রাট এক মাস বিদেশে অবস্থান করতে পারবেন। আর তিনি পাসপোর্ট সর্বোচ্চ দুই মাস নিজের জিম্মায় রাখতে পারবেন। পরে তাকে পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এছাড়া অভিযোগপত্রে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, এ টাকা তিনি পাচার করেছেন। গত বছরের ২২ মার্চ অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তখন র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।

ইত্তেফাক/এআই

Exit mobile version