Site icon The Bangladesh Chronicle

দেশের অর্থনীতিতে ভালো খবর নেই

ড. মো: মিজানুর রহমান

কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন অর্থনীতির মজবুত ভিত তৈরি করে তার ওপর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ধারাবাহিক উন্নতির চেষ্টা করা। এই প্রচেষ্টা হতে হবে সমন্বিত এবং ভারসাম্যপূর্ণ। স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বেশ ক’বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.২৫ শতাংশ হারে বেড়ে বর্তমানে ৪১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম চূড়ান্ত হওয়ার আশাও করছে সরকার। উন্নয়নের কতগুলো সামষ্টিক সূচক, যেমন- প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, মাথাপিছু আয়, রফতানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইত্যাদি দেখে বাংলাদেশ উন্নয়নের গতির ইতিবাচক ধারণা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে স্থান করে নিচ্ছিল। দারিদ্র্য বিমোচনেও ছিল প্রশংসনীয় অগ্রগতি। উন্নয়ন ও অগ্রগতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও মিলছে। বিশ্বব্যাংকের স্থানীয় প্রধানের মতে, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালের বাংলাদেশের পরিচিতি ‘বাস্কেট কেস’ থেকে এখন দেশটি উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে বিবেচিত। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৮৮ ডলার, যা ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। গত ১৫ বছরে তা চারগুণ বেড়ে বর্তমানে দুই হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার।

সামাজিক অগ্রগতিও হয়েছে ব্যাপক। বাংলাদেশের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর। ২০২০ সালে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রতি হাজারে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার বেড়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের বয়স বিবেচনায় শিশুদের ৭৩ শতাংশ এখন স্কুলে যায়। ১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র লোকের হার ছিল শতকরা ৮২ ভাগ যা ২০১৯ সালে কমে ২০ শতাংশে ঠেকেছে।

স্বাধীনতার পর মাত্র পাঁচ দশকের মধ্যেই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। ১৯৮১ সালে জিডিপিতে উৎপাদন খাতের অবদান ছিল ১৩ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালে তা বেড়ে ২০ শতাংশ হয়েছে। পুরো শিল্প খাতের অংশ জিডিপির প্রায় ৩৫ শতাংশ। এ সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। কৃষিপ্রধান থেকে শিল্প ও সেবাপ্রধান অর্থনীতিতে রূপান্তর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আধুনিকায়ন এনেছে। ১৯৭৫-৭৬ সালে বাংলাদেশ মাত্র ৩৮০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে। এখন বছরে রফতানি হয় ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। তৈরি পোশাক খাত এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির রূপান্তরে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) অনেক সূচক অর্জন করে বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে বাংলাদেশ

অর্থনীতির ধারাবাহিক অগ্রগতির ছন্দপতন
দেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক অগ্রগতির ছন্দপতন শুরু হয় গত এক দশক যাবত। প্রথম দিকে বিভিন্নভাবে দেশের অর্থনীতির এই সঙ্কট চাপিয়ে রাখা এবং পরবর্তীতে করোনা অতিমারী এবং আরো পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উপর চাপিয়ে দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, উন্নয়ন, সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) একটি জরিপ করে। জরিপের প্রতিবেদনে মূলত বাংলাদেশের রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিদের বিষয়ে নাগরিকদের উপলব্ধি, সমাজ ও অর্থনীতির গতিশীলতা, গণতন্ত্র ও নির্বাচন, নাগরিকত্ব, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নীতির অসারতার প্রকৃত রহস্য প্রকাশিত হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের ৭০ শতাংশই মনে করেন, দেশের অর্থনীতি ভুলপথে চলছে। অথচ তিন বছর আগে এই হার ছিল ২৮ শতাংশ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ব্যবসায় মন্দা, বেকারত্ব ইত্যাদি সমস্যা দেশের জনগণের জন্য গভীর আঘাত হিসেবে দেখা গেছে।

অনেক অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের অর্থনীতি এখনো ভুলপথে চলছে। তবে পথ কতখানি ভুল হয়েছে, তার চেয়ে বড় কথা- সেই পথে কখন কোথায় বাঁক নিতে হবে, কোথায় থামতে হবে, সেখানে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বড় ধরনের ঘাটতি হয়েছে। এর ফলেই এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’ প্রকৃতঅর্থে ব্যক্তিজীবনের আর্থিক চাপ, মূল্যস্ফীতির প্রভাবে জনগণের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, ‘অর্থনীতি ভুলপথে’ রয়েছে বলাই যথেষ্ট নয়; বরং বাস্তবে অর্থনীতির সমস্যাগুলো আরো ব্যাপক। দেশের রাজস্ব আদায়ের নিম্ন হার, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে না পারা, বৈদেশিক খাতে বিনিয়োগের ভঙ্গুর অবস্থা, রিজার্ভের খারাপ অবস্থা, এমনকি আইএমএফের কাছে যেসব প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে না পারা সব সূচকই তো নেতিবাচক হয়ে পড়ছে। এর ফলে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতির পাশাপাশি বাজারের ওপরে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে তারা সরাসরি চাপে পড়েছে। কিন্তু সেই চাপ কমানোর কোনো চেষ্টা সরকারের একদম নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, বহুদিন ধরে অর্থনীতিতে নানারকম যে নীতি নেয়া হয়েছে, তার ফলে আস্তে আস্তে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছিল। কোভিডের সময় সেসব ঝুঁকি প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। এরপর সেটি সমাধানের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় ক্রমাগত বেড়ে এখন বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে। বিশেষ করে কঠোর নীতির অভাবে ব্যাংকিং খাত নাজুক হয়ে পড়েছে। খেলাপি ঋণ বেড়েছে। নিয়মনীতি না মেনে কিছু গোষ্ঠীর কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে, ফলে পুরো ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়ম দেখার পরও এ ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

শীর্ষ ব্যবসায়ীরা কোনোরকম অনুমতি না নিয়েই বিদেশে অর্থ সরিয়ে নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে অনেক ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে। এর কোনো কিছুই ইউক্রেন যুদ্ধ বা বাইরের কারণে ঘটেনি। তার সাথে যুক্ত হয়েছে অব্যবস্থাপনা এবং শৃঙ্খলাহীনতা। ‘কর আদায়ের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের উপরে রয়েছে বাংলাদেশ।’

ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এখন দেশের অন্যতম সমস্যা। দেশে বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার ফলে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা পাচারও বেড়ে যায়। দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সুশাসনকে পাশ কাটানো হয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চায় বেশ ধস নেমেছে। উন্নয়নের সুফলগুলো তৃণমূল পর্যায়ে যথাযথভাবে পৌঁছাচ্ছে না। ব্যক্তিগত আয় এবং জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দিন দিন প্রকট হচ্ছে। বিশেষ একশ্রেণীর ধনীর তুলনায় উচ্চ-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ব্যক্তিরা দিন দিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে নিম্নবিত্ত যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারা অসম উন্নয়নের নেতিবাচক ফল ভোগ করছে। যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ সুফল পাচ্ছে ঢাকা শহরসহ কয়েকটি নগর এবং তৎসংলগ্ন স্থানগুলো। এর তাৎপর্য হলো- উন্নয়নের সুফল, দেশের সম্পদ, ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান- এমনকি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণগুলো কিছু কিছু স্থানে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। ফলে এর সুফল থেকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ হচ্ছে বঞ্চিত।

দরকার সমন্বিত প্রয়াস
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট অনেকটাই কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি, ডলারের বিপরীতে স্ব স্ব মুদ্রার অবমূল্যায়ন, জ্বালানির দামে অস্থিতিশীলতা ইত্যাদিসহ অনেক কিছুই এখন স্থিতিশীল। শ্রীলঙ্কার মতো দেশ দেউলিয়া হওয়া থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতির বিদ্যমান সঙ্কট দূর তো হয়নি; বরং সহজে দূর হওয়ার লক্ষণও নেই; বরং আরো বাড়বে এই পূর্বাভাস অনেক অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন। মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ এবং ডলার বাজারের অস্থিরতা সমস্যার আশু সমাধানও দেখা যাচ্ছে না; বরং যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে সমন্বয়হীনভাবে সমস্যাগুলো সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বাড়ার আশঙ্কাই বেশি। দেশের মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়হীনতা রয়েছে। অথচ প্রয়োজন ছিল সার্বিক অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য একটি সমন্বিত কৌশল নির্ধারণের স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, যাতে আস্থার পরিবেশ তৈরি হয়। গত অর্থবছরে আমদানি ব্যয় দ্রুত কমিয়ে আনা গেলেও বৈদেশিক লেনদেনের সমস্যার সমাধান হয়নি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দ্রুত পতন ঠেকানো গেলেও এখনো নিম্নমুখী চাপ রয়ে গেছে। আমদানি-রফতানি একটি নিম্ন পর্যায়ের ভারসাম্যে পৌঁছানোর চেষ্টা হচ্ছে, তবে এটি আমাদের মতো আমদানিনির্ভর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সহায়ক হবে না।

অর্থনীতির আস্থাহীনতার সঙ্কট থাকলে মূল্যস্ফীতি কমানো, বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি বা রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করা ইত্যাদি সব কিছুরই সমস্যা হয়। মূল্যস্ফীতি একবার বেড়ে গেলে অর্থনীতিতে এক ধরনের মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশা তৈরি হয় যার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। বর্তমানে বাজেট ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতিও মূল্যস্ফীতি উসকিয়ে দিচ্ছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের স্থবিরতা সত্ত্বেও জিডিপির অনুপাতে মুদ্রা সরবরাহ কেন বাড়ছে, তার কারণ স্পষ্ট নয়। এর ওপর খাদ্যঘাটতি দেখা দিলে পরিস্থিতি সামলানো আরো কঠিন হয়ে পড়বে।

দেশের পুঁজিবাজার তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ইদানীং কোরামিন দিয়ে পুঁজিবাজারকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত সফলতার কোনো লক্ষণ নেই। ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলাহীনতা অর্থনীতিতে বাড়তি সমস্যা তৈরি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বড় বড় আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন ঋণখেলাপিদের ক্রমাগত বেশি ছাড় দিচ্ছে এবং সমস্যা-দুর্নীতি জর্জরিত ব্যাংকগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে ঋণ সুবিধার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তাও বোধগম্য নয়। ব্যাংকের এই ঋণখেলাপি সমস্যার মধ্যে নতুন ভীতি শুরু হয়েছে ব্যাংক মার্জার বা একীভূতকরণ নিয়ে। কোন কোন ব্যাংক একীভূত হবে, কোন ব্যাংকের সাথে কোন ব্যাংক একীভূত হবে, একীভূত হলে ওই ব্যাংকগুলোর ডিপোজিটরদের ভবিষ্যৎ কী, কর্মচারীদের চাকরির ভবিষ্যৎ কী- এমনকি নীতিনির্ধারক কিভাবে নির্ধারণ হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

বৈদেশিক ঋণ এখন জিডিপির ৩০ শতাংশের বেশি। তবে গত কয়েক বছরে ঋণের বোঝা যে হারে বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতের জন্য শঙ্কার কারণ আছে। গত তিন বছরেই বৈদেশিক ঋণের বোঝা ৫০ শতাংশ বেড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ঋণ করে বড় বড় অবকাঠামো করেছে যা থেকে রিটার্ন আসতে সময় লাগবে। এসব ব্যয়ের সাশ্রয় ও বাস্তবায়ন দক্ষতার বিষয়েও অনেক মত রয়েছে। দেশের ভৌত অবকাঠামোর ব্যয় থেকে রফতানিমুখী দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয় কি না, যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ে এবং ঋণ পরিশোধে অসুবিধা হয় কি না সেটাই ভাববার বিষয়। বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই আসার পরিমাণও আশাব্যঞ্জক নয়। অথচ আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বছরে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারকে মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। বিক্ষিপ্তভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা না করে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা, অন্যথায় সঙ্কট আরো ঘনীভূত হতে পারে।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট

nayadiganta

Exit mobile version