Published by: Monishankar Choudhury | May 8, 2023
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল দেস্ক: দেউলিয়া শ্রীলঙ্কার পথেই কি হাঁটছে বাংলাদেশ? উন্নয়নের স্তম্ভ কি দাঁড়িয়ে ঋণের চোরাবালিতে? এমন অনেক প্রশ্নই উসকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (IMF)। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তথা অর্থনীতির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসে আইএমএফ-এর একটি দল। অপ্রিলের ২৫ তারিখ থেকে ৭ মে পর্যন্ত চলা ওই সফরের পরই ক্রমে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারের ক্ষয় এবং দেশটির মুদ্রা ‘টাকা’র মুল্য পতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আইএমএফ প্রতিনিধিরা। মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির ঘটনাবলীর নেতিবাচক প্রভাব ঢাকার অর্থনীতিতে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ছবছরে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারে রেকর্ড পতন দেখা গিয়েছে।
তবে, আইএমএফ প্রতিনিধি দলের মিশন চিফ বা প্রধান রাহল আনন্দ বলেন, “অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গতির নিরিখে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম অর্থনীতিগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশ।”
[আরও পড়ুন: বকেয়া বেতন না পেয়ে বাংলাদেশে কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর শ্রমিকদের]
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বাংলাদেশকে (Bangladesh) কাছে পেতে মরিয়া চিন। ভারতের প্রভাব খর্ব করতে ঢাকার জন্য ঋণের পসরা সাজিয়েছে বেজিং। ঋণের ফাঁদে ফেলে হাসিনা সরকারকে নিজেদের স্বার্থপূরণে ব্যবহার করতে চাইছে কমিউনিস্ট দেশটি। আর বিশ্লেষকরা মনে করছেন চিনা ঋণ বিপজ্জনক হয়ে ওঠতে পারে। পরিকাঠামো তৈরির নামে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতোই বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে পারে বেজিং।
বলে রাখা ভাল, গত কয়েকবছরে চিন থেকে নৌবাহিনীর জন্য টাইপ 053H3 ফ্রিগেট বা রণতরী কিনেছে বাংলাদেশ। বায়ুসেনার জন্য কে-৮ যুদ্ধবিমান, ট্রেনার বিমান ও সেনাবাহিনীর জন্য মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও চিন থেকে কিনেছে ঢাকা। বিগত দশকে এর জন্য প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে হাসিনা প্রশাসন। কিন্তু সেই সমস্ত হাতিয়ারের গুণগত মান ও কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশের ফৌজ।