Site icon The Bangladesh Chronicle

দাপুটে জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

৯ উইকেটের জয়ে সিরিজ জয়ের স্বাদ – ছবি : সংগৃহীত


তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারানোর পর আজ বুধবার দ্বিতীয় ম্যচে ৯ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে তামিমের নেতৃত্বে টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। এছাড়াও এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা দশম ম্যাচ জয় এবং সপ্তম সিরিজ জয়।

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লক্ষ্য মাত্র ১০৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মামুলি লক্ষ্য টপকাতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশকে। সহজেই ৯ উইকেটে জয় তুলে নেন তামিম-লিটনরা।

আজ বুধবার গায়ানায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে ১০৮ রান করে। জবাবে বাংলাদেশ এক উইকেট হারিয়ে ১১২ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে।

তামিম ইকবাল ৫০ রানের একটি হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে মূল অবদান রাখেন। ৬২ বল খেলে সাতটি চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। লিটন দাস ২৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। নাজমুল হোসেন শাস্ত ৩৬ বলে ২০ রান করে দলীল ৪৮ রানে সাজঘরে ফেরেন।

এর আগে লাল-সবুজের দলের স্পিনারদের দাপটে স্বাগতিকরা অল্প রানে গুটিয়ে যায়।

অবশ্য শুরুতে খুব একটা সাফল্য পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ১১তম ওভারে গিয়ে সাফল্য পায় টিম টাইগার্স। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সাজঘরে ফেরান কাইল মায়ার্সকে। ফেরার আগে মায়ার্স করেন ৩৬ বলে বলে ১৭ রান।

এরপর উইন্ডিজ ১০০-এর কোটা ছুঁয়েছে ঠিকই, কিন্তু এগোতে পারেনি বেশি দূর। ৩৩ ওভারে ১০৮ রানেই উইন্ডিজকে গুড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাসুম নেন তিনটি। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিততে তামিমদের প্রয়োজন ছিল ১০৯ রান।

আগের ম্যাচের উইকেট শূন্য মাসুম এই ম্যাচে ফেরেন দৃশ্যপটে, ইনিংসের ১৮তম ওভারে জোড়া শিকার তার। আউট করেন ওপেনার হোপ আর অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে। নাসুমকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দেন ডানহাতি হোপ। ফেরেন ৪৫ বলে ১৮ রানে। ওই ওভারের শেষ বলে পুরান রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন। এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

২৬ ওভারে ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটিকে আরো বিপর্যয়ের মুখে ফেলেন মিরাজ। তিন ওভারের ব্যবধানে একে একে ফেরান ব্রেন্ডন কিং (১১), শেফার্ড (৩) ও আলজারি জোসেফকে (০)।

মাঝে ২ রান করে আউটে কাটা পড়েন আকিল হোসাইন। এতে ৮৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০০-এর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে উইন্ডিজ। তবে শেষ উইকেটে কিমো পল আর গুদাকেশ মটির ২২ রানের পার্টনারশিপে ১০৮ রানে থামে ক্যারিবীয়দের ইনিংস।

৬ রানে থাকা মটিকে মিরাজ ফেরালে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন পল।

বল হাতে বাংলাদেশ দলের মেহেদী হাসান নেন ৪টি উইকেট। স্পিনার নাসুম তুলে নেন ৩টি। মোসাদ্দেক ও শরিফুল নেন ১টি করে উইকেট।

Exit mobile version