Site icon The Bangladesh Chronicle

থানা পর্যায়ে কমিটি করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি, বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৫০

থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের জন্য ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি
থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের জন্য ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটিছবি: সংগৃহীত

থানা পর্যায়ে কমিটি গঠন করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ জন্য ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে তারা। কমিটির সদস্যদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকেরা একটি পরামর্শক কমিটির মাধ্যমে নাগরিক কমিটির সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।

আজ শনিবার বিকেলে কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও মুখপাত্র সামান্তা শারমিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ–সংক্রান্ত পোস্ট দেন।

‘থানা পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশনা’ শীর্ষক ওই নির্দেশনায় নয়টি বিষয় উল্লেখ করা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে—জাতীয় নাগরিক কমিটির থানা পর্যায়ের সব কমিটি ‘প্রতিনিধি কমিটি’ হিসেবে পরিচিতি পাবে; প্রতিনিধি কমিটির সবাই ‘থানা প্রতিনিধি’ নামে পরিচিতি পাবেন; প্রতিটি প্রতিনিধি কমিটি গঠনের ৬০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে; জেলা পর্যায়ের থানা কমিটির সর্বনিম্ন সদস্যসংখ্যা হবে ২১ ও মহানগরের থানা কমিটি সর্বনিম্ন ৩১ সদস্যবিশিষ্ট হবে; সব কমিটিতে সর্বনিম্ন ২৫ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ শহীদ পরিবার বা আহত অভ্যুত্থানকারী, ৫ শতাংশ সংখ্যালঘু, ৫ শতাংশ কৃষক–শ্রমিক শ্রেণি ও এলাকাভিত্তিক সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিত্ব রাখার পাশাপাশি প্রতিনিধি কমিটি থেকে আহ্বায়ক কমিটিতে রূপান্তরিত হতে হলে সব ক্রাইটেরিয়া (শর্ত) পূরণ করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য নির্দেশনাগুলো হলো থানা কমিটিতে শিক্ষক, আইনজীবী, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, গৃহিণী ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে তরুণ নেতৃত্বের সমন্বয় করতে হবে; পঞ্চাশোর্ধ্ব সম্মানিত নাগরিকেরা একটি পরামর্শক কমিটির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে কাজ করবেন; থানা পর্যায়ের কমিটিতে থাকার ক্ষেত্রে ওই থানার নিবাসী হতে হবে এবং আওয়ামী লীগের কোনো অংশীজন বা সুবিধাভোগী কমিটিতে থাকতে পারবে না এবং অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।

নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রথম আলোকে বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংগঠিত করাই তাঁদের লক্ষ্য।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে দেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে সেপ্টেম্বরে জাতীয় নাগরিক কমিটির যাত্রা শুরু হয়।

prothom alo

Exit mobile version