মানবজমিন ডেস্ক
(১৯ মিনিট আগে) ২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। আশঙ্কা করা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ এ থেকে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, শনিবার কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা সাংবাদিকদের আরও পাঁচ সেনা ও সাত বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার প্যাগোডায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় থাইল্যান্ডের ছোড়া রকেটের আঘাতে প্রাণ হারান আরও একজন।
মালি সোচেতা আরও বলেছেন, কম্বোডিয়ার কমপক্ষে ৫০ বেসামরিক নাগরিক নাগরিক ও ২০ সেনা আহত হয়েছেন। এদিকে থাইল্যান্ড ১৩ বেসামরিক নাগরিক ও ছয় সেনা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে ছয়জন শিশু। এছাড়া থাইল্যান্ডের ২৯ সেনা ও ৩০ বেসামরিক নাগরিক কম্বোডিয়ার হামলায় আহত হয়েছেন। কম্বোডিয়ার প্রেহ ভিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়েছে সংবাদপত্র দ্য খেমার টাইমস জানিয়েছে, দেশটির উত্তর সীমান্ত থেকে ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনী থাইল্যান্ডের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে দূর পাল্লার রকেট ছুড়েছে। এর মধ্যে একটি পেট্রেল স্টেশনেও হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ছয় জন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী কম্বোডিয়াকে লক্ষ্য করে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায়। এতে বৌদ্ধ প্যাগোডায় লুকিয়ে থাকা এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে একাধিক ক্লাস্টার গোলাবারুদ ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে কম্বোডিয়া। যা একটি ব্যাপক নিন্দিত এবং বিতর্কিত অস্ত্র। কম্বোডিয়া একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।