Site icon The Bangladesh Chronicle

তীব্র গরমে বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোগ

Daily Nayadiganta (নয়া দিগন্ত) : Most Popular Bangla Newspaper


ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা বাড়ি ফিরছে। লঞ্চে গাদাগাদি করে বাংলাবাজার ঘাটে এসে নামছেন যাত্রীরা। লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। এ কারণে দু’টি লঞ্চের মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার ভোর থেকেই যাত্রীরা এ রুটে এসে ভিড় করছে। এ সময় ঘাট এলাকায় উপচে পড়া ভিড় শুরু হলে প্রখর রোদে দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

ঘাট এলাকায় দেখা ঘেছে, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষ এ নৌরুট হয়ে বাড়ি ফিরছে। তাই যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। এদিকে দুপুরের প্রখর রোদ যেন মাড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। রোদের তাপ এড়াতে ভোর থেকে যাত্রা শুরু করলেও ঘাটে এসে বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা।

যাত্রীরা জানান, সকালে রোদের তাপ ও গরম কম থাকে। এ কারণে ভোরে তারা যাত্রা শুরু করেছেন। তবে ভিড় বেশি থাকায় পারাপার বিলম্ব হচ্ছে। লঞ্চ স্পিডবোট ও ফেরিতে উঠে অপেক্ষা করতে হচ্ছে অনেক সময়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের উত্তাপ বাড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ।

বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, নৌরুটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় বেড়েই চলেছে। যাত্রীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে ঘাটে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করছে ৮৭টি লঞ্চ, ১১৫টি স্পিডবোটসহ ১০টি ফেরি।

এদিকে ২৪ ঘণ্টা ফেরি সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ভোর সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস চালু থাকছে।

স্পিডবোট ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চালু থাকছে। তবে দুর্ভোগ কমাতে ফেরির সংখ্যা আরো বাড়ানোর পাশাপাশি ঘাটে শৃঙ্খলার দাবি করেছেন যাত্রীরা।

ঢাকা থেকে আসা যাত্রী কাউসার বলেন, ভোরে গরম কম থাকবে। তাই রওনা দিয়েছি। লঞ্চে গাদাগাদি করে মানুষ পার হচ্ছে। রোদের তাপ বেশি হওয়ার এখন কষ্ট হচ্ছে।

ঘরমুখী যাত্রী আসমা বেগম বলেন, সকাল সকাল বের হয়েছিলাম ভিড় কম হবে ভেবে। কিন্তু এখানে এসে দেখছি উল্টো চিত্র। হাজার হাজার মানুষ রয়েছে পারাপারের জন্য। রোদে বাচ্চাদের নিয়ে ঘাটে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, লঞ্চ-স্পিডবোটে বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে কি না, তা আমরা লক্ষ করছি। ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় বেশি রয়েছে। যাত্রীর চাপ থাকায় রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চালু থাকবে। যানবাহন পারাপারের জন্য কম সংখ্যক ফেরি থাকায় ঘাটে যানবাহন পারাপারে বিলম্ব হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো: সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, নৌরুটে সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। ছয়টি ফেরি বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ২৪ ঘণ্টাই চলবে। সব নৌযান নির্বিঘ্নে চলাচল করায় যাত্রীদের চাপ কিছুটা সহনীয় থাকবে বলে মনে হচ্ছে। ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় আজ বেশি।

 

Exit mobile version