আজ বুধবার বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জাপা মহাসচিব বলেন, ‘তপশিল ঘোষণার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তারা তপশিল ঘোষণা করেছে, ঠিক আছে। কিন্তু ধারণা ছিল, সরকার সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। এরপর তপশিল ঘোষণা করলে ভালো হতো। সরকার যদি নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়, তাহলে তপশিল পরিবর্তন ক্ষমতা রয়েছে ইসির। অতীতে পরিবর্তনের নজির রয়েছে।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘কথা একটাই, নির্বাচনের পরিবেশ চাই। নির্বাচনে প্রাথমিক প্রস্তুতি রয়েছে জাপার। জয়ী হওয়ার আশা না থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছিল। এমন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা সহ্য করতে পারেনি। পাস নিশ্চিত জেনেও সিল মেরেছে। কেন? কারণ, সিল মারা তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। এই কারণেই, নির্বাচনে যাব কি যাব না প্রশ্নের মুখে পড়েছি।’
গতকাল মঙ্গলবার জাপার কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সভায় একই বক্তব্য এসেছে জানিয়ে মুজিবুল হক বলেছেন, ‘তৃণমূলের নেতারা বলেছেন- এই সরকারের আমলে যত নির্বাচন হয়েছে, তা ভালো হয়নি। তাঁরা দলের চেয়ারম্যানকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছেন। আসলে দেশের অবস্থা খুব খারাপ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক দফায় চলে গেছে। তাদের একগুঁয়েমিতে দেশের মানুষ জিম্মি, ভয়ের মধ্যে রয়েছে। এখনো সময় আছে, বড় দুই দলের আলোচনায় বসা উচিত। সংলাপ হলে সমাধানের রাস্তা বের হবে।’
সমকাল