বাসস জানিয়েছে, সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তরুণ স্বপ্নদর্শীদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় যুব পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হবে। সপ্তমবারের এ অনুষ্ঠানটি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল মিডিয়াসহ ফেসবুক পেজে সম্প্রচারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সিআরআই তাদের ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
সারা দেশের ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের আবেদনের মধ্য থেকে ৬ ক্যাটাগরিতে এবার প্রদান করা হবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের পরিচয়কে ধারণ করে। সেই স্লোগান ধারণ করে এই পুরস্কারটি তরুণদের মধ্যে এক স্বপ্ন বীজ বপন করে। মানবিক কাজ এবং সমাজে অবদানের জন্য বাংলাদেশের সেরা যুব সংগঠনগুলিকে স্বীকৃতি দেয়া হয় এই পুরস্কারের মাধ্যমে। তারুণ্যের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা ২০১৫ সাল থেকে প্রদান করে আসছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এর আগের ছয় আসরে ১৪৫ তরুণদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়েছে এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের সাফল্যের গল্প। এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে ৬টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু এবং পরিবেশ উদ্ভাবন এবং যোগাযোগ। এই ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত সংগঠনগুলো নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও বিনোদন, জ্ঞান ও সক্ষমতা বিকাশ, অতিদরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি সেবা প্রদান কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রয়েছে। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মানব জমিন