শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এ সময় তিনি ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
শুনানিতে খুরশীদ আলম বলেন, ‘শ্রম আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। ড. ইউনূসকে বারবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তিনি সুযোগ নেননি। বরং আদালত ও সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। এজন্য এ আইনে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করছি।’
ড. ইউনূসের পক্ষে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে শ্রম আইনের ২৩৪ ধারার বিধান লঙ্ঘিত হলে ২৩৬ ধারায় সরকার অনেকগুলো প্রতিকারের বিধান রেখেছে। শ্রম আইনের ২৩৬ ধারার ওই বিষয়গুলো উল্লেখ না করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বিবাদী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে পারে না। এটি আইনের লঙ্ঘন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপন অবশিষ্ট থাকায় পরবর্তী শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। এদিন শ্রম আদালতে ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে তুলে ধরেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন তিনি।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে গত ৬ জুন বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সমকাল