আজ মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলন থেকে ফিরে এ সংবাদ সম্মেলন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি ডিমের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিম নিয়েও (সিন্ডিকেট কারসাজি) করে। এরপর ডিম যখন বেশি পাবেন, সিদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবেন, বহু দিন থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবকিছুর বিকল্প ব্যবস্থা আছে। ডিম সিদ্ধ করে ডিপে রাখলে তা অনেক দিন ভালো থাকে। আরামে রান্না করে খাওয়া যায়। ভর্তা করেও খাওয়া যায়। আমরা রাখি, খাই দেখে বলি। এগুলো তো নিজের থেকে শেখা। সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমে গেলে সেটা এমনিতেই ভেঙে যাবে।’
বর্ষাকালে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থা তো রয়েছে যে, কাঁচা মরিচ এখন শুকনা করে রেখে দেওয়া যায়, পেঁয়াজ শুকিয়ে সুন্দর করে রেখে দেওয়া যায়। সেটা বলার পরে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তারপরে যে জিনিসটা বেশি হবে সেটা ভালো করে রোদে শুকিয়ে রেখে দিলে অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। বিকল্প ব্যবস্থা তো আছে।’
চাষাবাদ করলে সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি নিজেরা উৎপাদন করেন। নিজেরা কৃষি ভূমিতে উৎপাদন করতে পারেন তাহলে তো বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা থাকে না। নিজেরা যত উৎপাদন করতে পারেন সিন্ডিকেট এমনি ভেঙে যাবে। ওদের আর কিছু করার থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘এটা করলে তো ভালো হবে। দেখেন ছাদবাগান–টাগান তো ভালোই চলছে। আমার প্রচুর কাঁচা মরিচ হয়েছে, কাঁচা মরিচের ছবি তুলে দিয়েছিলাম। নিজের কাঁচা মরিচের গাছ থেকে একটা কাঁচা মরিচ ছিঁড়ে খাওয়া। এটার আলাদা টেস্ট, তাই না। সবাই নিজেদের আঙিনায় শাকসবজি লাগান—এই সিন্ডিকেট কিছু করতে পারবে না।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হলো। উনি আমাদের এখান থেকে চাল কিনতে চান। আমি বলেছি, আমাদের ১৭ কোটি মানুষের খাবার দিতে হয় আগে, আর আমরা তো গরিবদের বিনা পয়সায় দেই। আমি গিয়ে দেখব, যদি উদ্বৃত্ত থাকে অবশ্যই আমরা আপনাকে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে এখন অনেকেই তরকারি কিনতে চাচ্ছে, আমরা কিন্তু দিচ্ছি। আমাদের তরকারি তো এখন সুইজারল্যান্ডেও যাচ্ছে। ওদের একটি সুপার মার্কেট চেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। পৃথিবী তো ছোট হয়ে আসছে এটিও তো দেখতে হবে। কিছু জিনিস তো বাইরেও যাচ্ছে।’