Site icon The Bangladesh Chronicle

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় স্বাগত জানালেন ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা

মানবজমিন ডেস্ক

(১৮ মিনিট আগে) ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:৫১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৬ অপরাহ্ন

ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই পরিকল্পনাকে মেনে নিতে হামাসকে উৎসাহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরই মধ্যে হামাসের কর্মকর্তাদের কাছে পরিকল্পনার ২০ দফা তুলে দেয়া হয়েছে। সোমবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেন এবং একে শান্তির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তবে সতর্ক করেন, হামাস যদি এই পরিকল্পনায় সম্মত না থাকে, তাহলে তাদের থেকে যে হুমকি তা ধ্বংস করতে ইসরাইলকে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর শাসন করে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। তারা ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টাকে আন্তরিক ও সুনির্দিষ্ট বলে আখ্যায়িত করেছে। ওয়াফা বার্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, আঞ্চলিক দেশগুলো এবং অংশীদারদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধ বন্ধে যৌথভাবে কাজ করতে পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত হবে। মুক্তি পাবেন জিম্মি ও বন্দিরা।

ওদিকে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা ট্রাম্পের নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলেছেন, ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ বন্ধে আন্তরিক প্রচেষ্টা নিয়েছেন। তারা আরও বলেছেন, চুক্তি চূড়ান্ত করতে এবং বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে কাজ করতে প্রস্তুত আছেন। তারা বলেন, এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। গাজা পুরোপুরি পশ্চিমতীরের সঙ্গে একীভূত হয়ে গঠিত হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্তোনিও কস্তা বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ইতিবাচক সাড়ায় তিনি উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি সব পক্ষকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রকৃত শান্তি স্থাপনের আহ্বান জানান। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই একত্রিত হয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে এই চুক্তি চূড়ান্ত করতে কাজ করতে। তিনি আরও বলেন, হামাসের উচিত এই পরিকল্পনা মেনে নেয়া এবং বিপর্যয়ের ইতি ঘটানো। তাদের উচিত অস্ত্র সমর্পণ করা এবং সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়া।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মিদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত ফ্রান্স। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়টি আরো গভীরে আলোচনার পথ তৈরি করবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। তা হবে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি এক বিবৃতিতে এই অগ্রগতিকে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সব পক্ষকে এই সুযোগ ব্যবহার করে এই পরিকল্পনা মেনে নেয়ার আহ্বান জানায় ইতালি।

ওদিকে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভন ডার লিয়েন বলেছেন, এই শান্তি পরিকল্পনায় অবদান রাখতে প্রস্তুত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এই সুযোগ লুফে নেয়ার আহ্বান জানান। বলেন, শত্রুতা বন্ধ হওয়া উচিত। অবিলম্বে গাজার মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছা উচিত। সব জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, একটি ন্যায় ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ হলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান।

Exit mobile version