- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংকট নিরসনে দূরদর্শী কূটনীতি ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার (২০ জুন) পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
পাকিস্তানের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের ‘অপ্ররোচিত ও অবৈধ’ আগ্রাসনের কারণে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয় এবং বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর জবাবে পাকিস্তান নিজেদের প্রতিরক্ষায় ‘অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসুস’ নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সক্রিয় তৎপরতার ফলেই গত ১০ মে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হয়। এই উদ্যোগ পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে একটি বড় আকারের যুদ্ধ প্রতিহত করেছে। পাকিস্তানের মতে, ট্রাম্পের ‘কৌশলগত দূরদর্শিতা ও কূটনৈতিক দক্ষতা’ এই সংকট নিরসনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
পাকিস্তান সরকার জম্মু-কাশ্মির ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মির সমস্যার সমাধান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
একইসঙ্গে, গাজা ও ইরানের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এই ধরনের কূটনৈতিক উদ্যোগকে বিশ্ব শান্তির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতির শেষে পাকিস্তান আশা প্রকাশ করে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব ভবিষ্যতেও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।।