Site icon The Bangladesh Chronicle

টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে লিটন-মিরাজকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তাইজুল

logo

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ ক্রিকেট |ইন্টারনেট

পরিসংখ্যানের বিচারে বাংলাদেশ টেস্ট দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার অধীনেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার সাতে উঠে আসে টাইগাররা। তবে এসব এখন অতীত।

শনিবার কলম্বো টেস্টের পর হঠাৎ টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। যার পেছনে যদিও কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেছেন তিনি, তবে এখানে লুকিয়ে আছে অভিমানের এক গল্প।

সেই গল্প টেনে এখন আর লাভ নেই। শান্ত যেহেতু সরে দাঁড়িয়েছেন, নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে বাংলাদেশকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কে আসছেন পরবর্তী নেতৃত্বে?

মুশফিকুর রহিম আছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। তিনিও অভিমান করে অধিনায়কত্বকে বিদায় জানিয়েছেন বহু আগে। অন্যদিকে পারফর্ম করতে না পারায় মুমিনুল হককে সরিয়ে দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

ফলে টেস্ট খেলেন এমন নিয়মিত ক্রিকেটারদের মাঝে কেবল আছেন লিটন দাস। মেহেদী মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। যেখানে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে থাকবেন মিরাজ। ওয়ানডে অধিনায়কও তো তিনিই।

সদ্যই মেহেদী মিরাজকে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তিন অধিনায়কের যুগে পা রাখে বাংলাদেশ। তবে তেমন কিছু হওয়ার আগে শান্ত টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়লেন।

এমতাবস্থায় তিন অধিনায়কের যুগেই থাকবে কি না দল, সেটাই আগে দেখার বিষয়। যদি সংখ্যাটা কমে আসে, তবে অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্স বিবেচনায় মেহেদী মিরাজ প্রাধান্য পাবেন নিঃসন্দেহে।

কেননা শান্তর সহযোগী হিসেবে ছিলেন তিনি। শান্তর অনপুস্থিতিতে দল পরিচালনার অভিজ্ঞতাও আছে মিরাজের। শান্তর অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পুরো একটি সিরিজেই নেতৃত্ব দেন মিরাজ।

দুই ম্যাচের সেই সিরিজে তার নেতৃত্বে দেশের বাইরে ১-১ ড্র নিয়েই ফিরেছিল টাইগাররা।

মেহেদী মিরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। টেস্টে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা আছে। তার অধিনায়কত্বেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া জয় পায় বাংলাদেশ।

৫৪৬ রানের বিশাল সেই জয় রানের হিসাবে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় তো বটেই, টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসেরই তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়।

তবে বিসিবি যদি তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের নিয়মেই ঠিক থাকে, তবে কপাল খুলে যেতে পারে তাইজুল ইসলামের। পূরণ হতে পারে তার দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার স্বপ্ন।

গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, অধিনায়কত্ব নিতে প্রস্তুত কি না? জবাবে তাইজুল বলেছিলেন, ‘যেহেতু ১০ বছর ধরে খেলেছি, অধিনায়কত্ব নিতে পুরোটাই তৈরি।’

মোটেও ভুল বলেননি, এই মুহূর্তে দলে তার জায়গা যেমন শতভাগ নিশ্চিত, তেমনি এই মুহূর্তে টেস্টে বাংলাদেশের এক নম্বর বোলারও তাইজুল ইসলাম। পারফর্ম করছেন নিয়মিত। কলম্বো টেস্টেও পেয়েছেন ৫ উইকেট।

২০১৪ সালে সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলে আসা তাইজুল গত এক দশকে খেলেছেন মোট ৫৫ টেস্ট। তাইজুলের মোট উইকেট সংখ্যা ২৩৭। আছেন সাকিব আল হাসানকে (২৪৬) টপকে দেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হওয়ার সন্নিকটে। এমন মুহূর্তে নেতৃত্ব পাওয়া তার জন্য হতে পারে দারুণ এক উপহার।

এ অবস্থায় মিরাজ, লিটন নাকি তাইজুল অধিনায়ক হবেন, এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো খুব দ্রুতই পাওয়া যাবে। তবে দেখার বিষয় বিসিবি কাকে নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয়।

Exit mobile version