Site icon The Bangladesh Chronicle

টেকনাফ সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে মে মাসে

টেকনাফ সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে মে মাসে  

আগামী মাসে টেকনাফ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বিজিপি সদস্যদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বাড়তে পারে।

গতকাল রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদনে মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের যেসব ঝুঁকি রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা/মগ) অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ; বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অরক্ষিত স্থল ও জলসীমায় নিরাপত্তা; রোহিঙ্গাদের রেশনের অবৈধ পাচার রোধ; মাদকের বিনিময়ে রেশন সরবরাহের ফলে মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ বাড়তে পারে; সীমান্তে যুদ্ধাবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় সন্ত্রাসী দল/গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে; স্থানীয় আদিবাসী ও মগ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সখ্য থাকায় আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব অগ্নিকাণ্ডের পর দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে উল্লেখ করেন।

কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সামছুল হক দুদু, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ময়েজ উদ্দিন শরীফ, মো. ছানোয়ার হোসেন, চয়ন ইসলাম, মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) ও হাছিনা বারী চৌধুরী অংশ নেন।

সমকাল

Exit mobile version