বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘একাত্তরে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েই তারা (জামায়াত) পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। তাদের এই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, সেটা তারা স্বাধীনতার পর স্বীকার করেনি এবং সেটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে বলেও আমার জানা নাই।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বাহিনী যখন আত্মসমর্পণ করল, তখন তাদের সঙ্গে জামায়াতও আত্মসমর্পণ করেছে। সেই অর্থে বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
জামায়াতের পুনরুত্থান এবং ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না উদীচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামপন্থী ধর্মীয় দলের উত্থান বিভাজনের রাজনীতিকে আরও প্রকট করবে।
গত ১৫ বছর প্রকাশ্যে না থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকেই জামায়াত প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমান রাজনীতিতে স্বৈরতন্ত্রের রাজনীতির বিপরীতে গণতন্ত্রের উন্মুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেই পরিবেশে যারা গণতন্ত্র চায়, তাদের সঙ্গে জামায়াতও সহযাত্রী হয়ে গেছে। একটা ঝুকিপূর্ণ সহযাত্রী। কিন্তু তারা সহযাত্রী হয়ে গেছে, এটাই বাস্তব।’
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে শ্রেণিগত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যারা আমরা শ্রমিকশ্রেণির রাজনীতি করি, তাদের বিরোধিতা থাকবেই।’
ajker patrika