Site icon The Bangladesh Chronicle

জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী পাঠ্যপুস্তক একদিনও পাঠদান করতে দেওয়া হবে না : হেফাজতে ইসলাম

 আমার দেশ
২০ জানুয়ারী ২০২৩

দেশের জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনাশী শিক্ষাক্রমে প্রণীত নতুন পাঠ্যপুস্তককে ইসলাম বিদ্বেষী উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম

নিজস্ব প্রতিনিধি

দেশের জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনাশী শিক্ষাক্রমে প্রণীত নতুন পাঠ্যপুস্তককে ইসলাম বিদ্বেষী উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এই পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সাথে জড়িতদের রাষ্ট্রদোহ আইনে বিচারের দাবি জানিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, এসব বই দিয়ে শিক্ষার্থীদের একদিনও পাঠদান মেনে নেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে এই সংগঠনটি।

শুক্রবার গণমাধ্যমে সংগঠনটির আমীর শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুহাম্মাদ ইয়াহহিয়া এবং মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমানের যুক্ত বিবৃতিতে নতুন পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে হেফাজতের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমদের সংগঠন হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক কেফায়েতউল্লাহ আজহারীর পাঠানো বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ ইদ্রিস।

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নকারীদের ‘ইসলামবিরোধী’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুসলমানের সন্তানদের ঈমান আকিদা ও দেশপ্রেম ধ্বংসের জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব ইসলাম বিরোধী শক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা মুসলমানের সন্তানদের নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা তৈরি করার জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। এর পরতে পরতে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ডারউইনের মতবাদকে ‘কোরআন-হাদিস’ বিরোধী উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডারউইনের কুখ্যাত নাস্তিক্যবাদ দিয়ে সিলেবাস ভরিয়ে ফেলা হয়েছে। বানর থেকে মানুষ সৃষ্টির কোরআন-হাদিস বিরোধী মতবাদ পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করা হয়েছে। হিজাব থেকে শুরু করে দাড়ি- ইসলামের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার বিষয়ে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।’

ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) হিন্দুত্ববাদ শিক্ষার্থীদের সিলেবাসে ঢোকানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

হেফাজত নেতারা বলেন, আমাদের বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছিল, পাঠ্যবইয়ে ইসলামবিরোধী কিছু থাকবে না। কিন্তু সেই কথা রাখা হয়নি। সর্বোচ্চ মহলের কাছে দাবি জানানোর পরেও ইসলাম বিরোধী মতবাদগুলো কেন পাঠ্যবইয়ে থাকলো- সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।

বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে ইসলামবিদ্বেষী বই তুলে দিয়ে জাতিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হয়েছে। আমরা জানতে চাই, কারা এ ধরনর গুরুতর অপকর্ম করেছে? তাদের সামনে আনা হোক। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

শিক্ষাক্রমে থাকা ইসলাম বিরোধী অসঙ্গতিপূর্ণ সকল বিষয় বাতিলের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এই সিলেবাসে একদিনও পাঠদান আমরা মেনে নিতে পারি না।

কারাবন্দী আলেম-ওলামাদের আদালতে হাজিরের সময় ডাণ্ডাবেড়ি পরানোরও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

Exit mobile version