Site icon The Bangladesh Chronicle

জাতীয় দলে নেতৃত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সাকিব

জাতীয় দলে নেতৃত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সাকিবসাকিব আল হাসান

আগের ম্যাচে ঢাকাকে হারিয়ে প্রথম জয় দেখেছিল সিলেট। হারের বৃত্ত ভাঙা জয়টি তাদের অনেকটা প্রেরণা জুগিয়েছিল। কিন্তু ঘুরেফিরে সেই আগের অবস্থায় তারা। গতকাল রংপুরের বিপক্ষে ৭৭ রানে হেরে যায় সিলেট। আগে ব্যাট করে রংপুর করে ১৬২। আর সিলেট থেমে যায় ৮৫ রানে।

ম্যাচের পর সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ সংবাদ সম্মেলনে পেয়ে একবারে অনেক কিছু জেনে নেওয়ার চেষ্টা করলেন সাংবাদিকরা। একের পর এক প্রশ্ন হলো। সাকিব কখনও হেসে, কখনও পাল্টা প্রশ্ন করে উত্তর দিলেন। এই যেমন চোখের বিষয় নিয়ে বেশি বলতে হলো তাঁকে। এতদিন যে ধরনের কথা শোনা গেছে, গতকাল সাকিব দিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের কেউই তাঁর চোখের সমস্যা নির্ণয় করতে পারেননি।

তিনি নিজে থেকে চেষ্টা করছেন সমস্যার উৎস খুঁজতে, ‘চোখের কোনো সমস্যা নেই। আমি আপনার চেয়ে ভালো দেখছি (হাসি)। সমস্যাটা কোথায়, সেটা খোঁজা হচ্ছে। এটা আমি বের করার চেষ্টা করছি। বাকিরাও করছে।’

বিপিএলে রংপুর রাইডার্সে খেলছেন সাকিব। ব্যাটিং করতে সমস্যা হওয়ায় পুরো দস্তুর বোলারের ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে তাঁকে। এভাবে এক ভূমিকায় খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে নতুন।

এ রকম পরিস্থিতিতে তাঁকে সুযোগ দেওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে কৃতজ্ঞ বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার, ‘জীবনে এমনটা কখনও হয়নি, একটা দিক দিয়ে খেলতে হয়েছে। প্রথমবার করতে হচ্ছে। রংপুর রাইডার্স যে প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে দলে নিয়েছিল তার অর্ধেক করতে পারছি, অর্ধেক পারছি না। এর পরও তারা যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করছে, এ রকম একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। কারণ তারা যেভাবে আমাকে যত্ন করেছে এবং পরিস্থিতি বুঝেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ছাড়া আমার কিছু বলার নেই।’

বিপিএল শেষ হলেই জাতীয় দলের সিরিজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সাকিব এ সিরিজে অধিনায়ক থাকবেন কিনা– এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বোর্ডের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখনও আলাপ হয়নি।’

বিপিএলে দেশের ক্রিকেটাররা ভালো না করলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে মনে করেন সাকিব, ‘আমার মনে হয়, এটা নিয়ে আলাপ না করাই ভালো। জাতীয় দলে যখন খেলবে, সবাই সবার দায়িত্ব পালন করবে। বিপিএল একটা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এবারের পিচগুলোও আদর্শ না। গতবারের পিচ এবং কন্ডিশন অনেক ভালো ছিল। রান হচ্ছিল, যেটা এবার হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বেশি খেলতে খেলতে রিলাক্সড হয়ে যায়। হয়তোবা এখান থেকে বিশ্বকাপে গিয়ে ভালো খেলবে। আমার কাছে মনে হয় না, এখানে হতাশ হওয়ার জায়গা আছে। সবাই ভালো খেলবে। টেস্টের শুরুটা ভালো হয়েছে। এ বছর অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে সবাই যেন ভালোভাবে খেলতে পারে।’

samakal

Exit mobile version