- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যারা নিজের জনগণের ওপরই বোমা নিক্ষেপ করে—জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিবেশী রাষ্ট্র সম্পর্কে এভাবেই কঠোর সমালোচনা করেছে ভারত। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক এক উন্মুক্ত বিতর্কে এই মন্তব্য করা হয়। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এই ঘটনা ঘটে।
জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পরভথনেনি হরিশ বলেন, পাকিস্তান কেবল ‘ভ্রান্তি ও অতিরঞ্জনের’ মাধ্যমে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। একজন পাকিস্তানি কর্মকর্তার বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওই কর্মকর্তা কাশ্মীরি নারীরা ‘দশকের পর দশক ধরে যৌন সহিংসতার শিকার’ হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন।
রাষ্ট্রদূত হরিশ ১৯৭১ সালের ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, সে সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিজ দেশের প্রায় চার লাখ নারীর ওপর ‘পদ্ধতিগত অভিযান’ চালিয়ে গণধর্ষণ করেছিল এবং পাকিস্তান ‘পদ্ধতিগত গণহত্যা’ চালায়। তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিশ্ব পাকিস্তানের প্রচারণার ভেতর দিয়ে সত্য দেখতে পাচ্ছে’।
সাম্প্রতিক সময়ে এটিই একমাত্র ঘটনা নয়। গত সপ্তাহেও জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৬০তম অধিবেশনে ভারত পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেছিল। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর কে. এস. মোহাম্মদ হুসেন সে সময় বলেন, ‘আমরা এটিকে ভীষণ বিদ্রুপাত্মক মনে করি যে বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট মানবাধিকার রেকর্ডধারী একটি দেশ অন্যদের নৈতিক শিক্ষা দিতে চায়’।
পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত করে হুসেন আরও বলেন, তাদের উচিত ভিত্তিহীন প্রচারণা না চালিয়ে নিজেদের সমাজে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান রাষ্ট্রীয় নির্যাতন ও বৈষম্যের দিকে নজর দেওয়া। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে জানিয়ে আসছে যে, জম্মু ও কাশ্মির ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।