জাতির অর্জন হারিয়ে যাচ্ছে: ফখরুল
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখান থেকে উঠে দাঁড়াতে চাই, আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি অতীতে। আমি বিশ্বাস করি, বারবার এ দেশের মানুষ জেলে গিয়েছে। একটা কথা আমি কখনো বিশ্বাস করি না যে এই সমস্যা শুধু বিএনপির সমস্যা, এটা গোটা জাতির সমস্যা। সমগ্র জাতি আজ পরাধীন হয়ে যাচ্ছে, সমগ্র জাতি আজকে তার অর্জনগুলোকে হারাচ্ছে। তাই আমাদের সকলকে উঠে দাঁড়াতে হবে, উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হবে, সোচ্চার হতে হবে, রাস্তায় দাঁড়াতে হবে এবং আমাদের সমস্ত অর্জনগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থনীতি প্রায় ধবংস হয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার বিচার হয়, সাজা হয় দুই কোটি টাকার একটি মিথ্যা মামলার জন্য। কিন্তু শত শত কোটি টাকা লুটপাট করলেও দুর্নীতি দমন কমিশন তা দেখতে পায় না।
ভাষাশহীদদের স্মরণ করে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার শপথ নেওয়ার কথা আহবান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করে প্রকৃত উন্নয়ন হয় না, টেকসই উন্নয়ন হয় না। দেশকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে, তারা ফিরিয়ে দেবে না। গণতন্ত্র ফেরাতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খালেদা জিয়াকে জামিন মুক্তি দেবেন। আর যদি না দেন, আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই আমাদের কাছে। তখন আমাদের বাধ্য করা হবে একটা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান। সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।