Site icon The Bangladesh Chronicle

জনপ্রিয় বলেই আওয়ামী নেতাদের মুখে বিএনপি

বিএনপির একটি জনসভা। – ফাইল ছবি

বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ইদানীং স্বদেশে, প্রতিবেশী দেশে এমনকি বিদেশেও উল্লিখিত বিষয়টি খুবই প্রাধান্য পাচ্ছে। ইউরো-মার্কিনি রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরা এ বিষয়ে নিয়মিত সবক দিয়ে চলেছেন, নসিহত করছেন। যতই অসম্মানজনক হোক এ অবস্থা আমরাই তৈরি করেছি। বিশেষভাবে করেছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর আচার-আচরণ। অন্য দিকে, আওয়ামী লীগ নেতাদের আলোচনায় ঘুরেফিরে বিএনপির কথা আসে। এখানেই বিএনপির শক্তি।

টিভির টকশো, সংবাদপত্র বা নানা সংগঠনের গোলটেবিল আলোচনায় বিষয়টি অহরহ উঠে আসছে। এ দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ও স্থিতিশীলতা নিয়ে দেশী-বিদেশী নানাজনের নানা রকম মাথাব্যথা। আসলে সমস্যা শুধু গণতন্ত্রের স্থিতি নিয়ে নয়, মূল সমস্যা সুশাসনের অভাব।

রবীন্দ্রনাথের অপর্ণা রক্তের ধারা দেখে চিৎকার করে উঠেছিল, রাজা, এত রক্ত কেন? সে রক্ত ছিল পশুবলির। ধর্মের নামে বলি। রবীন্দ্রনাথ তাতেই শিউরে উঠেছিলেন। কালীঘাটে পশুবলি বন্ধের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে নিন্দিত হয়েছিলেন। বেঁচে থাকলে একালের নর-নারী, শিশুহত্যার ব্যাপ্তি দেখে কিভাবে ধিক্কার জানাতেন, আমাদের জানা নেই। আমাদের বিশ্বাস জোরালো প্রতিবাদ তিনি করতেনই।

একালের সহিংসতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কাগজ পড়ার আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে। কাগজের পাতা উল্টাতেই যদি রক্তের গন্ধ নাকে লাগে, সেই সঙ্গে এসিড সন্ত্রাস, অপহরণ বা ধর্ষণের মতো ঘটনা স্নায়ুতে আঘাত করতে থাকে, তাহলে পরিবেশের সুস্থতা থাকে কোথায়? বিশেষ করে সমাজের সর্বত্র এমনকি শিক্ষাঙ্গন পর্যন্ত যখন এ-জাতীয় দূষণের শিকার তখন জীবনানন্দীয় বাগধারায় বলতে হয়, সারাটা দিন বড়ো খারাপ কাটবে, রাতটা আরো খারাপ। সমাজের এখন গভীরতার অসুখ। অসুস্থ সমাজে কি সুস্থভাবে বাঁচা যায়? এ অসুখ সারাবার বদ্যির বড় অভাব। রাজা যদি না চান তাহলে কোনো রাজবদ্যির সাধ্য নেই খুন, রাহাজানি, ধর্ষণের মতো ঘটনাবলির অসুখ সারাবে।

সামাজিক দূষণ তো এক দিনে ঘটে না, দীর্ঘ সময় ধরে দূষণের প্রক্রিয়া চলে, বিস্তার ঘটে। প্রতিরোধ বা প্রতিষেধক না নিলে পচন ধরে। অবস্থা দেখে মনে হয় সমাজটা সেই অবস্থায় পৌঁছেছে। এসব ঘটনার সাথে রয়েছে মাদকাসক্তি, চাঁদাবাজি, দলবাজি, রাজনৈতিক ও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, খুনোখুনি ইত্যাদি। সর্বোপরি দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার।

আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য উন্মাদ। মনে করি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পত্তন হলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে অর্জিত স্বদেশে গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ ঘটল কই? সঙ্গত কারণে এসব ঘটনাকে আমরা স্বৈরশাসনের কুফল হিসাবে তুলে ধরি।

যুক্তরাষ্ট্রের ১৮০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জেফারসনের প্রার্থিতার পক্ষে প্রচারণার ইস্যুতে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিকান কোয়ালিশন থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্ম হয়। ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিকানরা দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের গ্রামীণ-এলাকায় শক্তিশালী অবস্থানে ছিল। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী জন অ্যাডামসের সমর্থন ছিল উত্তরাঞ্চলের শিল্প-বাণিজ্য অধ্যুষিত এলাকায়। ওই সময় এন্ড্রু জ্যাকশন কর্তৃক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়, যিনি ১৮২৯ হতে ১৮৩৭ সাল অবধি প্রথম সেখানকার শেষসীমার (প্রান্তিক) অনাবাদি এলাকার মানুষ হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে গৃহযুদ্ধকালীন সময় অবধি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মূল সমর্থকগোষ্ঠী ছিলেন গ্রামীণ এবং শেষসীমার অধিবাসীগণ যাদের স্বার্থ রক্ষা করাই ছিল দলটির মুখ্য উদ্দেশ্য (শহুরে এবং শিল্প-বাণিজ্যের স্বার্থের বিপরীতে)। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ এলাকাই ছিল গ্রাম-অধ্যুষিত এবং অনাবাদি ও সীমানাসংলগ্ন। সে কারণে ডেমোক্র্যাটিক কোয়ালিশন অধিকাংশ ফেডারেল নির্বাচনেই জয়ী হতে থাকে। ১৮৫০ এর দশকে জাতীয় নির্বাচনি ইস্যুতে দাস ব্যবস্থার প্রসঙ্গ মুখ্য হতে শুরু করে। বিষয়টি সুপরিকল্পিতভাবে রিপাবলিকান দল কর্তৃক উৎসাহিত হয়ে ওঠে এবং এর ফলস্বরূপ অত্র এলাকাসমূহে দলটির আধিপত্য বিস্তৃত হতে থাকে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-দক্ষিণ ইস্যু ও সংকটের বা কৃষি এবং শিল্পের মধ্যে বিরোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে এজন্য গৃহযুদ্ধের মতো প্রাণঘাতী তৎপরতার মূল্য গুনতে হয়েছিল। দক্ষিণে গৃহযুদ্ধের কারণে ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তার সুফল পায়। ১৮৭৬ সালের পরে যখন সাদারা দক্ষিণে পূর্ণ ভোটাধিকার অর্জন করে তখন দক্ষিণজুড়ে ফেডারেল এবং আঞ্চলিক নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯৬ সালে ডব্লিউ জে ব্রায়ানের নেতৃত্বে পশ্চিমাঞ্চলে উপদলীয় তৎপরতার কারণে ডেমোক্র্যাটিক দলের পশ্চাৎপ্রবণতা লক্ষ করা যায়। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামাঞ্চলে শহুরে ধাঁচের হয়ে উঠতে থাকে। ফলে ডেমোক্র্যাটিক দলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকে। পরবর্তীকালে ডেমোক্র্যাটিক দলের ভাগ্যে পরিবর্তন সূচিত হয়। ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৩৩ সালের মধ্যে মহামন্দার প্রতিক্রিয়া হিসেবে রুজভেল্ট নিউ ডিল কর্মসূচি গ্রহণ করে কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নেন। প্রথমবারের মতো তখন উত্তরের কালো মানুষ এবং দরিদ্ররা ঐক্যবদ্ধ হন। এমতাবস্থায় ডেমোক্র্যাটিক দলের আধিপত্য ফেডারেল রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয় যা ১৯৬৮ সাল অবধি চলমান থাকে।

নিউ ডিল কোয়ালিশন ছিল ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত। এটি অধিকাংশ কালো আমেরিকান এবং অধিকাংশ সাদা কিছু বর্ণবাদী আমেরিকানকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। যদিও তারা উভয়েই কল্যাণমূলক নীতিতে একমত হয়েছিল; কিন্তু সুস্পষ্টভাবে বর্ণবাদের প্রশ্নে ছিল না-রাজি। ১৯৬৪ সালে প্রেসিডেন্ট কেনেডি হত্যার সময় অবধি প্রশাসক বা আইনপ্রণেতা কেউই নাগরিক অধিকারের প্রত্যয়টি কার্যকর করেননি।

অধিকাংশ পণ্ডিতজন এ বিষয়ে একমত যে, ১৯৬৮ সালের পর হতে নিউ ডিল অ্যালাইনমেন্টের মৃত্যু ঘটেছে। প্রতিনিধি সভায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ১৯৯৪ সাল অবধি প্রাধান্য বিস্তার করলেও সবসময় তারা সিনেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। অন্যদিকে তা ১৯৬৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাত্র ১২ বছর ১৯৭৭-৮১ এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদ দখল করতে পেরেছে। তবে এরপর আট বছর তা রিপাবলিকান দলের অধীনে চলে যায় এবং এটি আবার ডেমোক্র্যাটিক দলের দখলে চলে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় বর্তমান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এক অবিচ্ছেদ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ দল। অর্থনীতি, বৈশ্বিক রাজনীতি কার্যত দলের ক্ষমতারোহণের বিষয়টি নির্ধারণ করেছে।

গণতান্ত্রিক শান্তি সৌহার্দ্য
ধারণাটি এরকম যে, গণতান্ত্রিক অথবা প্রজাতান্ত্রিক ধরনের রাষ্ট্রগুলো অধিক শান্তিপ্রিয়, বাহ্যিক সম্পর্ক রক্ষার বেলায় একের অপরের সঙ্গে সংঘাতে বা যুদ্ধে লিপ্ত হয় না। আধুনিক গণতান্ত্রিক শান্তি তত্ত্বটির রয়েছে দীর্ঘ ঐতিহ্য। এটি উদারতাবাদী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে এটি জার্মানির দার্শনিক এমানুয়েল কান্টের (১৭২৪-১৮০৪) ভাবনার মধ্যে যুক্ত হয়ে রয়েছে। কান্টের শান্তিতত্ত্বের সঙ্গে সংযুক্ত। আধুনিক গণতান্ত্রিক শান্তিতত্ত্বের আরো একটি অগ্রদূতসম চিন্তা এসেছে ১৯৫০ এর দশকের লেখক কার্ল ডায়াসের চিন্তাভাবনা থেকে। তিনি দেখাতে চেয়েছেন যে, উত্তর আমেরিকা, স্কান্ডিনেভিয়া এবং পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো গণতান্ত্রিক ধারায় আসার পর একে অপরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বা অন্যভাবে তারা পারস্পরিক বিরোধের মীমাংসা করে থাকে। ১৯৮০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে গণতান্ত্রিক শান্তিতত্ত্ব অনেক যুদ্ধের কারণ ও বাস্তবতা উপেক্ষা করে পুনঃজাগরিত হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মিখায়েল ডউলি। শীতল যুদ্ধোত্তর সময়ে এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অঙ্গনে অ্যাকাডেমিক এবং পাবলিক বিতর্কের সূচনা করে কেননা, সে সময় ক্লিনটন প্রশাসন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে।

গণতান্ত্রিক শান্তি সম্পর্কিত ধারণা দুটি পূর্বানুমানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। (ক) গণতন্ত্রমনা ব্যবস্থা খুবই সামান্যই শক্তির ব্যবহারের কথা ভেবে থাকে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক সাধারণত আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নেয়। এবং (খ) অপরাপর ব্যবস্থাসম্বলিত সম্পর্ক দ্বন্দ্বপূর্ণ এবং যুদ্ধংদেহী হয়ে থাকে-এ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক নয় এমন ব্যবস্থায় আন্তঃসম্পর্ক দ্বন্দ্বপূর্ণ এবং যুদ্ধমুখী। এই পূর্বানুমানের প্রত্যয় সবসময়ই সম্ভাবনার ঘেরাটোপে আচ্ছন্ন থাকে। কেউ কেউ দাবি করেন এটি গণতান্ত্রিক বিধির অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নয় এমন দেশের সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক অনিশ্চিত দোলাচলে আবর্তিত হয়ে থাকে। তবে এর ভিতর দিয়ে কিছুমাত্রার আশাবাদ ব্যক্ত হয়-অন্ততপক্ষে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের বেলায় এবং সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক নয় এমন দেশগুলোর মধ্যে বিপরীতধর্মী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতি ধারণাযোগ্য হয়ে ওঠে। নয়া বাস্তববাদীরা যুক্তি দেখান যে, এমনকি গণতান্ত্রিক ধাঁচের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধংদেহী হয়ে উঠতে পারে- (অস্ত্র প্রতিযোগিতামুখী)। এমতাবস্থায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো পারস্পরিক সম্পর্কের বেলায় সংঘাতবর্ধক হয়ে ওঠার যুক্তি খুঁজে নেয়।

এর ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ বিএনপি সংসদে না থাকলেও এটা যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ, তা তাদের কথাবার্তায় লুকানো থাকে না। আওয়ামী লীগের নেতারা কোথাও ১০ মিনিট বক্তব্য দিলে ৫ মিনিট থাকে বিএনপি প্রসঙ্গ। প্রতিপক্ষের গালমন্দ দলটিকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। প্রশ্ন উঠতে পারে, বিএনপিকে নিয়ে কেন এত মাতামাতি বা টানাহেঁচড়া। কারণ খুবই সোজা। দলটির পেছনে জনগণের বিরাট অংশের সমর্থন আছে। ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি চারবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা সবচেয়ে কম আসনে জয় পেয়েছিল, মাত্র ৩০টিতে। কিন্তু ভোট পেয়েছিল ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের এক-তৃতীয়াংশ ভোটারের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও বিএনপি থেকে গিয়েছিল ক্ষমতার বাইরে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনেও এ রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেবার আওয়ামী লীগ বিএনপির চেয়ে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ ভোট বেশি পেলেও সংসদের আসন বিন্যাসে তার প্রতিফলন হয়নি।

বিএনপিকে বাইরে থেকে যত নাজুক মনে হোক না কেন, অনেক মানুষ একে আওয়ামী লীগের বিকল্প মনে করে। দলটি একাধিকবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার পরিচালনা করেছিল। ভবিষ্যতেও সরকারে যাওয়ার আশা রাখে। বিএনপির উপলব্ধি কি জানি না তবে এটা সত্য, সরকার পরিবর্তনে নির্বাচনের বিকল্প নেই। পরবর্তী নির্বাচনযুদ্ধের জন্য বিএনপিকে তৈরি হতে হবে। বেগম জিয়ার এবারের বক্তৃতায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। ২০১৪ সাল অথবা ২০১৮ সাল মার্কা নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ একমত না হলে দেশ আবারও সঙ্কটে পড়বে।

বেগম জিয়ার ইতিবাচক ও ভবিষ্যমুখী রাজনীতির কথা বলেছেন। তিনি সামাজিক সনদের কথাও বলেছেন। তার দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর প্রতি তিনি যে সৎ ও আন্তরিক থাকবেন, সেই বিশ্বাসযোগ্যতা তাকে ও তার দলকে আগামী দিনগুলোতে অর্জন করতে হবে।

লেখক : কলামিস্ট, ৯০ এর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রনেতা

Exit mobile version