স্টাফ রিপোর্টার
(১৬ ঘন্টা আগে) ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৫:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন
ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জ্যান রুল্ফ জেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বুধবার বিকাল ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ। জার্মান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন দূতাবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা শেরনীল কবির।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সবার যেমন কনসার্ন তাদেরও কনসার্ন রয়েছে। নির্বাচনটা কিভাবে হতে যাচ্ছে- সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি কেমন চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ-জার্মানির যে সার্বিক সহযোগিতাগুলো আছে সেগুলো কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সেগুলো আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছে- কিভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করা যায়। তারা জানতে চেয়েছে- কিভাবে নির্বাচনটা আন্তর্জাতিক মানের ও নিরপেক্ষ করা যায়।
বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর যে ধরনের কনসার্ন, তাদেরও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একই ধরনের কনসার্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের জানিয়েছি- শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এই নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের জন্য কিছু বয়ে আনবে না। আবার একটা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রকল্প ছাড়া এই নির্বাচন কিছুই না।
নির্বাচন সুষ্ঠু করা নিয়ে জার্মানির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত কোনো পরামর্শ দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক মানের, নিরপেক্ষ, অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে চায় তারাও সেভাবে চায়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রক্রিয়া বলে দেবে না। তারা যেটা চাচ্ছেন সেটা বলছেন। প্রক্রিয়াটা কি হবে সেটা বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করতে হবে। প্রক্রিয়া আমরা সেটা বারবার বলেছি- নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, অংশীদারিত্বমূলক, আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন সম্ভব নয়। এটার অর্থ হলো- যখন কেউ বলে- এটা বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। এটা গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এটা অংশীদারিত্বমূলক হতে হবে। এটা নিরপেক্ষ হতে হবে। যখন কেউ সেই কথাগুলো বলে স্বাভাবিকভাবে আমরা মনে করি- বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দাবি নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত সম্ভব নয় সেই আলোচনা আমরা করেছি।