Site icon The Bangladesh Chronicle

ছাত্র অধিকারের উপর হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন ৬ ছাত্রলীগ কর্মী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

২২ আগস্ট ২০২২

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এসে ক্ষমা চান তারা। হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের পাশাপাশি এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার’ (স্যাট) এর নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির সামনের ফুটপাতে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এর আগের দিন রাতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেসেঞ্জার গ্রুপে সেই বর্ষের মারুফ নামে এক শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক বিতর্ক প্রকাশ্যে আসে। সরকারের সমালোচনা করে লেখা তার একটি মন্তব্যকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে জিয়া হলের প্রভোস্ট তাকে পুলিশে দেন। পুলিশের দৃষ্টিতে ‘নিরপরাধ’ মনে হওয়ায় পরদিনই মারুফকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে সেদিন থানা থেকে আনতে গিয়েছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বেশ কয়েকজন নেতা। আর মারুফ নামে সে শিক্ষার্থীকে নিয়ে ফেরার পথেই মারধরের শিকার হন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহউদ্দিন সিফাত,অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান। এই দুইজন একইসঙ্গে স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার’ (স্যাট) এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও আছেন।
এ ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা ছিলেন -আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল তুষার, গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হেদায়েত উল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইত্তেজা হোসেন রাকিব, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মাসুরুর রুদ্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সুমন আলী, এফ রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী রোকনুজ্জামান রোকন। এদের মধ্যে তুষার এবং হেদায়েত ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আর বাকিরা ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।

রোকন ছাড়া বাকি সবাই কবি জসিম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের কর্মী। রোকন এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের কর্মী।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, এটি একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ছাত্র অধিকার পরিষদ কোনো প্রতিশোধপরায়ন সংগঠন না। যারা হামলা করেছে তারাও আমাদের ভাই। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে তারা তো নয় বরং কোনো ছাত্রলীগ কর্মী ক্যাম্পাসের কোনো শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করবে না। আমরা চাই ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষার্থী সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করুক এবং সহ-অবস্থান নিশ্চিত হোক।

Exit mobile version