ছাত্রদল সন্দেহে ২ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রদলের কর্মী সন্দেহে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ ও হল সংসদের নেতাদের বিরুদ্ধে। এ সময় তাদের একজনের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। তবে হল শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে
হলচ্যুত দুই শিক্ষার্থী হলেন- দ্বিতীয় বর্ষের রাকিবুল হাসান এবং প্রথম বর্ষের সুমন হোসাইন। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার এবং সুমনের সাথে ডাকসুর জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিকের ছবি ছিল আর সেখান থেকে আমাদের সন্দেহ করে এবং ভোর ৫টায় আমাদেরকে ঘুম থেকে তোলে হল অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে হল শাখা ছাত্রলীগ এবং হল সংসদের অনেকেই ছিল। তারা আমাদের রড, স্টাম্প দিয়ে ভয় দেখায় এবং হল থেকে বের করে দেয়। যদি সামনে হল কমিটি না থাকতো, তাহলে নামাজ পড়ার কারণে আমাদের শিবির ব্লেইম দিয়ে মারা হতো বলে জানান তারা।’
ভুক্তভোগী রাকিব আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে হলের ত্রিসীমানায় দেখা গেলে অামাদের মারার হুমকি দিয়েছেন তারা।’
আরেক ভূক্তভোগী সুমন বলেন, আমাদেরকে হল থেকে বের করে দেয়ার সময় আমার মানিব্যাগ থেকে তিনহাজার টাকা তারা নিয়ে নিয়েছে।
এ বিষয়ে ডাকসুর ছাত্রদল প্যানেলেরজিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ‘ছাত্রলীগকে তো হল ইজারা দেয়া হয়নি যে তারা কাউকে হল থেকে বের করে দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদল করলে একজনকে মারবে, হল থেকে বের করে দেবে এবং মানিব্যাগে টাকা থাকলে তা ছিনিয়ে নিবে তাদেরকে এই দায়িত্ব কে দিয়েছে? হল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এ প্রহসনের বিচার দাবি করি এবং অবিলম্বে ওই দুই শিক্ষার্থীকে হলে ফিরিয়ে নিতে দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্যার এফ রহমান হল সংসদের জিএস ও শাখা ছাত্রলীগ নেতা রাহিম সরকার বলেন, তারা গণরুমে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়নি, তারা স্বেচ্ছায় হল ছেড়ে চলে গেছে। আমরা এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষকে জানাব এবং হল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এতে হল সংসদের কেউ জড়িত ছিল না।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো কিছু জানিনা। আমি সমাবর্তনের কাজে ব্যস্ত আছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য হাউজ টিউটরকে নির্দেশ দিয়েছি।