Site icon The Bangladesh Chronicle

চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ

চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ – ছবি : নয়া দিগন্ত

গত ১৪ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজে পর্দা উঠেছে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের। তবে আজ থেকে মিশন শুরু হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের। সন্ধ্যা ৭টায় টাইগার যুবারা লড়বে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

শেষ পাঁচ ম্যাচের হিসেবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ডের চেয়ে। সর্বশেষ ম্যাচটি হয়েছিল টাই। তার আগের চারটি ম্যাচই অবশ্য বাংলাদেশ জিতেছে বেশ দাপট দেখিয়ে। ফলে আজও জয় দিয়ে মিশন শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ, সে আশায় আছে ভক্তরা। এ গ্রুপে বাংলাদেশের বাকি দুই প্রতিপক্ষ অবশ্য আরো কম শক্তিশালী, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বিশ্বকাপ মিশনের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা বলতে গেলে ভালো-মন্দ মিশিয়ে। আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত যুব এশিয়া কাপের সেমি থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ভারতের কাছে ১০৩ রানে হেরে যায় বাংলার যুবারা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেই পারফরম্যান্স নিতান্তই নাজুক ছিল। বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে অবশ্য দাপটে জেতে বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়েকে হারায় ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে।

আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করেছিল ২৭৭ রান। সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আইচ মোল্লা। অধিনায়ক রাকিবুল হাসান করেছিলেন ৩৬ রান। লোয়ার অর্ডারে রিপন মন্ডল ছিলেন ৩৯ রানে অপরাজিত। জবাবে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১১০ রানে। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছিলেন নাঈমুর রহমান। আরিফুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন দুটি, রিপন মন্ডল, তানজিম হাসান সাকিব ও মুশফিক হাসান নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশের সামনে বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশনও।

সেন্ট কিটস থেকে ক্রিকইনফো দেয়া এক সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ নাভি নাওয়াজ স্মৃতি হাতরানোর চেষ্টা করলেন বছর দুয়েক বিশ্বজয়ের সেই স্মৃতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বিশ্বকাপ জিতলাম, তখন মনে হচ্ছিল এটা বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। আমরা সবাই খুশিতে আত্মহারা ছিলাম। বাংলাদেশের রাস্তায় ছেলেদের নিয়ে স্লোগান দিতে দেখেছি। মিরপুর স্টেডিয়ামের আশপাশ ছিল লোকে লোকারণ্য। আমরা সবাই ছিল আপ্লুত, এমনকি চোখ দিয়ে পানিও পড়ছিল। তখন বুঝতে পারছিলাম, গোটা জাতিই আসলে কতটা খুশি।‘

সেই দলের থেকে তিনজন খেলোয়াড় এখন জাতীয় দলের খেলছে। পেসার শরিফুল ইসলাম বেশ নিয়মিত। অভিষেক হয়েছে শামিম হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়েরও।

এদের প্রসঙ্গে নাভিদ জানান, ‘শরিফুল ও জয় নিউজিল্যান্ড সফরে দারুণ খেলেছে। দুজনই আমার বেশ ক্লোজ ছিল। শরিফুল আগ্রাসি বোলিং দেখে মনে হচ্ছিল পাঁচ-ছয় বছর ধরে সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। আর জয়তো প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো। কিউই পেসারদের কিভাবে সে সামাল দিল, সত্যিই প্রশংসনীয়।’

বিশ্বকাপ জয়ের পর কোভিডে নাড়া দিয়ে গোটা বিশ্ব। থমকে যায় সব কিছু। তারপরও কিছু ম্যাচ খেলা হয়েছে। যা এই বিশ্বকাপের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি বলে মানছেন না যুবাদের এই কোচ, ‘কোভিডের কারণে আদর্শ প্রস্তুতি বলতে যা বুঝায় তা হয়নি সত্যিকার অর্থে। সর্বশেষ এখানে জিম্বাবুয়ের সাথে বেশ ভালো করেছে ছেলেরা। দারুণ বোলিং সাইড দেখেছি আমরা এই ম্যাচে। বাঁ হাতি স্পিনার নাঈমুর রহমান, অফ স্পিনার আরিফুল ইসলাম, মিডিয়াম পেসার আব্দুল্লাহ আল মামুনরে বোলিং ছিল দেখার মতো। দুরন্ত বোলিংয়েই বাংলাশে পায় দারুণ জয়।’

নতুন অধিনায়ক রাকিবুল হাসানকে নিয়েও প্রশংসায় পঞ্চমুখ নাভিদ। তার নেতৃত্বে গত বছরের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় (৫-০)। কলকাতায় তিন দলীয় সিরিজে ট্রফি জেতা। ঘূর্ণি বল হাতে রাকিবুল যেমন কার্যকরী, তেমনি ব্যাট হাতেও বেশ আগ্রাসী। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে তার প্রতি আস্থা রাখছেন কোচ নাভি, ‘রাকিবুল ক্ষুরধার মস্তিষ্কের একজন ক্যাপ্টেন। খুব দ্রুতই সে তার জায়গাটা করে নিয়েছে। একজন টিম লিডার হিসাবে সব গুণ ওর মধ্যে আছে।’

Exit mobile version