Site icon The Bangladesh Chronicle

চাওয়ায় যুবককে তুলে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মারধর

১২ এপ্রিল  bd-pratidin.com

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

    অসহায়দের জন্য ত্রাণ চাওয়ায় চৌকিদার দিয়ে বাড়ি থেকে যুবককে তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শনিবার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গুনাইঘর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।

    ভুক্তভোগী আশেকে এলাহী জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় ১১০ জনকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন। এরপর স্থানীয় আরও অনেকে তার আছে এলে তিনি তাদের ত্রাণ সামগ্রী দিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আব্দুল হাকিম খাঁনকে অনুরোধ জানান। তার অভিযোগ, ‘৭৯ জন দরিদ্র ও দিনমজুরের তালিকা করি। স্থানীয় মেম্বারের কাছে আবেদন জানানো হয়। মেম্বার জানায় চেয়ারম্যানের কাছে যেতে। চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার পর তিনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। আমারে বলে আমি কি চেয়ারম্যান হমু নাকি, এমপি হমু নাকি। আমার এত দরদ কেন?’

    চেয়ারম্যান ত্রাণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তালিকা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছেও যান। পরে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করার অভিযোগে ঐ যুবককে চারজন চৌকিদার দিয়ে তুলে নেন চেয়ারম্যান আব্দুল হাকীম। আশেকে জানান, আমাকে বলেন যাদের তালিকা দিয়েছি তাদের ত্রাণ দিবে। পরে আমি চেয়ারম্যানকে ফোন করি। তিনি আমাকে যেতে বলেন। আমি ফোন চৌকিদারদের কাছে দিতেই তিনি বলেন, আমার যেন পা মাটিতে না পড়ে সেভাবে তুলে নিয়ে যেতে।পরিস্থিতি দেখে স্থানীয়রাও তার সঙ্গে চেয়ারম্যানের কাছে যান। বাড়ি থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে তাকে দফায় দফায় তিনবার মারধর করা হয়। তিনি জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় এবং ফেসবুকে চেয়ারম্যানের পক্ষে ভিডিও বার্তা দেয়ার পর বিকাল ৪টায় তাকে সেখান থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী সময়ে এবিষয়ে কোনো সক্রিয়তা দেখালে তার বিরুদ্ধে পঞ্চাশটির বেশি মামলার হুমকি দেন চেয়ারম্যান।

    যুবককে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পরও বিষয়টি অস্বীকার করেন গুনাইঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকীম। তিনি জানান, পরিষদে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। যাকে পরিষদে আনা হয়েছে সে আমার ভাতিজা। আমি তাকে কোনও মারধর করিনি।

    বিডি-প্রতিদিন/শফিক

    Exit mobile version