Site icon The Bangladesh Chronicle

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

মুজিবুল হক বলেন, এখন গ্রামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। তাঁর নিজের নির্বাচনী এলাকায় (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। তাঁর এলাকার মানুষ বলেছেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, লোডশেডিং হয় কি না, তা দেখার জন্য এক দিন থাকতে। পরিস্থিতি দেখতে মুজিবুল হক তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে অনুরোধ জানান।

সক্ষমতা সত্ত্বেও ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪১ শতাংশ বসে আছে জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

রেন্টাল বিদ্যুতের (ভাড়ায় চালিত) জন্য যে আইন করা হয়েছে, তাকে দায়মুক্তির আইন আখ্যা দিয়ে মুজিবুল হক বলেন, উৎপাদন না করেও বসে বসে ভাড়া নেওয়ার যে চুক্তি, তা জনগণের স্বার্থে বাতিল করতে হবে। বসিয়ে বসিয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বিল দেওয়া…তারপর লোডশেডিং থাকবে….কী যে অসহনীয় অবস্থা এ দেশের, ঢাকায় থেকে বোঝা যাবে না।

আইএমএফের দেওয়া শর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মন্ত্রী মূল্যবৃদ্ধিকে বলেন সমন্বয়। দাম বাড়ানো বলতে লজ্জা পান, তাই সমন্বয় বলেন তিনি। এ সমন্বয় এক বছর করেছেন। আগামী তিন বছরে ১২ বার করবেন। ভর্তুকি পুরো তুললে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। মূল্যবৃদ্ধি না করে এমন পদক্ষেপ নেন, যেটাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে সহনীয় পর্যায়ে (থাকে), আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।’

সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি বড় সড়ক দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেন, দুর্ঘটনার পর দেখা যায়, কোনো গাড়ির ফিটনেস নেই। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। মন্ত্রী যদি একটু ‘স্ট্রং’ হন। পুরোনো গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অটো (ব্যাটারিচালিত রিকশা) রাস্তায় না চললে মানুষ এভাবে মারা যাবে না।

prothom alo

Exit mobile version