বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আকতার বলেছেন, এর মধ্যে আছে দেশের বড় বড় কারখানা।
তারা পশ্চিমা বড় বড় ব্রান্ড এবং খুচরা ক্রেতাদের জন্য পোশাক প্রস্তুত করে। এসব ব্রান্ডের মধ্যে আছে গ্যাপ, ওয়ালমার্ট, এইচঅ্যান্ডএম, ইন্ডিটেক্স, বেস্টসেলার, লেভিস, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, প্রাইমার্ক ও আলদি। প্রাইমার্কের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডাবলিন সদরদপ্তরের এই ফাস্ট ফ্যাশনের খুচরা ক্রেতার সরবরাহ চেইনে এখনও কোনো বিঘ্ন হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। অস্থিরতা অব্যাহত থাকায় তারা অস্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধ রেখেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো যেসব ব্রান্ডের জন্য কাজ করে তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। কারণ, তাতে বায়ারদের কাছ থেকে তারা অর্ডার হারানোর আশঙ্কা করেন।
রাজধানী ঢাকার আশপাশে শিল্প এলাকার রাস্তাঘাটে শুক্রবারও প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন হাজারো গার্মেন্ট শ্রমিক। দুটি কারখানা আবার খুলে দিলে সেখানে সহকর্মীদের যোগ দেয়া আটকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন প্রায় ৩০০০ শ্রমিক। পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন এমন একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। এদিন ছুটি ঘোষণা করেছে দুটি কোম্পানি। তাদের ২৫০০০ শ্রমিক বাসায় চলে যান।
শ্রমিকরা বলছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবারের খরচ মেটাতে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। তাদেরকে শতকরা ২৫ ভাগ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। শ্রমিকরা বলছেন, মাসিক যে ২৩০০০ টাকা বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন, এই অর্থ তার চেয়ে অনেক কম।
পুলিশ বলেছে, ঢাকার সবচেয়ে বড় শিল্প এলাকা গাজীপুরের গার্মেন্ট মালিকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শনিবার থেকে কারখানা আবার খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গাজীপুরের পুলিশ প্রধান সারওয়ার আলম বলেছেন, যেকোনো রকম সহিংসতা ঠেকাতে আমরা প্রায় ৩০০০ পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষী মোতায়েন করবো। তিনি শ্রমিকদেরকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে বলেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি শ্রমিকদের এই দাবি যৌক্তিক। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তা তাদের কোনো সহায়ক হবে না। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ এমন এক সময়ে ঘটছে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে বিরোধী দল আন্দোলন করছে।