Site icon The Bangladesh Chronicle

গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু শুক্রবার

গাজায় দেড় মাস ধরে নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
গাজায় দেড় মাস ধরে নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলছবি: রয়টার্

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রায় দেড় মাস পর আগামীকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী কাতার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী জিম্মি ১৩ নাগরিককে আগামীকাল মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইতিমধ্যে মুক্তি দিতে যাওয়া জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মজিদ আল-আনসারি বলেছেন, আগামীকাল সকাল সাতটায় (স্থানীয় সময়) চার দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি থাকবে। চুক্তি অনুযায়ী শুক্রবার বিকেল চারটায় প্রথম ধাপে ১৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

মজিদ আল-আনসারি আরও বলেছেন, শুক্রবার হামাসের হাতে জিম্মি নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে একই পরিবারের সদস্যদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। কাতার আশা করছে, সকাল সাতটায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু হবে।

হামাসও যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয় নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড বলেছে, আগামীকাল সকাল সাতটায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এ সময় হামাস ও ইসরায়েল সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে।

কাসেম ব্রিগেড আরও বলেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর প্রতিদিন চার ট্রাক জ্বালানি ও ২০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করবে।

জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামীকাল যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাঁদের একটি প্রাথমিক তালিকা হাতে পেয়েছে তারা। ইতিমধ্যে জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তারা।

ইসরায়েল সরকার ও হামাস গত বুধবার যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়ে একমত হয়। সে অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার থেকে গাজায় চার দিন ইসরায়েলি হামলা বন্ধ রাখার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল জানায়, শুক্রবারের আগে হামলা বন্ধ করবে না তারা। তাই এর আগে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানায় হামাস।

Exit mobile version