দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। বিপ্লবের স্পীরিট (উদ্দীপনা) ধারণ করে লড়াই চলমান রাখতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হবে আমাদের লড়াই।
রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ আয়োজিত ‘শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদ এবং নয়া বাংলাদেশের গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের সবার চাওয়া, তারা দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ে যাবে। এটি নিয়ে কারও মতভেদ নেই। তবে নির্বাচনের টাইম ফ্রেম নিয়ে মতভেদ আছে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। বিপ্লবের স্পীরিট (উদ্দীপনা) ধারণ করে লড়াই চলমান রাখতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হবে আমাদের লড়াই।
মাহমুদুর রহমান বলেন, এই দেশে আর কোনোদিন যাতে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আধিপত্যবাদ রুখতে হলে আমাদের সবদিকে নিজেকে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে। ইতিহাস ঐতিহ্যকে জানতে হবে। সেই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে দৈনিক ‘আমার দেশ’ কাজ করে যাবে। বাঙ্গলী মুসলমানের আইডেনটিটি তুলে ধরার একটা প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে ‘দৈনিক আমার দেশ’।
ড. মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে ভুটানের একটা ফ্রেন্ডশিপ (বন্ধুত্ব) চুক্তি আছে, যার মাধ্যমে তারা ভুটানের সঙ্গে হেজিমনিক (আধিপত্যবাতী) সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে তারা ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি না করলেও একটা উপনিবেশে পরিণত করেছিল। আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ভারতীয় হেজিমনিকে (আধিপত্য) পরাজিত করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড তাজাম্মুল হক, সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেসবাহ-উল-আজম সওদাগ প্রমূখ।