গণতন্ত্র অনুপস্থিতির কারণেই এই নৈরাজ্য : মান্না

গণতন্ত্র অনুপস্থিতির কারণেই এই নৈরাজ্য : মান্না

Daily Nayadiganta

গণতন্ত্র অনুপস্থিতির কারণেই এই নৈরাজ্য : মান্না – ছবি : সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নিয়মিত গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে সরকার আজ এতখানি স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণ করতে পারত না। একটা রাষ্ট্রে নৈরাজ্য তখনই দেখা দেয়, যখন সেখানে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকে। বর্তমান নৈরাজ্য শেষ বিচারে গণতন্ত্র অনুপস্থিতির কারণে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাতিল করে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যবস্তা কায়েম করতে হবে। আর এজন্য ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল করে অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ।

মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, এজন্য দল গোষ্ঠী,পরিবার,ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা-স্বার্থ বাদ দিয়ে সবাইকে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ভাবতে হবে। আজকের রাজনীতি তাই হতে হবে রাষ্ট্রকে রক্ষা করবার রাজনীতি। তার একমাত্র পথ হবে গণতন্ত্র।

মান্না বলেন, ডেঙ্গুর ভয়াবতা বিস্তারের কারণে দেশ আজ এক ভংঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে আছে। সারা বিশ্বের মিডিয়া বাংলাদেশ সর্ম্পকে বলা হয়েছে, এটা এর মধ্যে মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দেশের সবক’টি জেলা এখন ডেঙ্গু কবলিত। এরই মধ্যে ৬১জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ মাত্র কয়েক দিন আগে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র কী বাগাড়ম্বর করেছেন, অনর্থক দলীয় রাজনীতিকে দোষারোপ করেছেন। একথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে এদের হাতে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। এরা এখন পর্যন্ত কার্যকর মশা মারার ওষুধ আমদানি করতে পারেনি। কিন্তু মশা মারবার নাটক করছে। দুই সিটি কর্পোরেশন এব্যাপারে কোন ব্যবস্থাতো নেয়য়নি বরং দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে যান পারিবারিক সফরে।

তিনি বলেন, একটা দেশের সরকারের জবাবদিহিতা এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে সেটার ফল কী হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। আর মানুষের প্রতি নূন্যতম দায়বদ্ধতা না থাকে তার ফল কী হতে পারে সেটার জাজ্বল্যমান প্রমাণ বাংলাদেশ।

তিনি বলেন,আমরা একটা জাতীয় সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছি। পরিস্থিতি মোকাবলার জন্য দায়িত্বশীলের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রতারণামূল আচরণ থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, মানুষের জীবন মৃত্যুর এ সন্ধিক্ষণে সরকারের যে কোন অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।