Site icon The Bangladesh Chronicle

গণঅধিকার পরিষদ ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. রেজা কিবরিয়া

 আমার দেশ
৮ মে ২০২৩

প্রবাসী অধিকার পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনায় ড. রেজা কিবরিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদ ক্ষমতায় গেলে দেশে মানুষের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

সোমবার (৮ই মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রবাসী অধিকার পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনায় এসব কথা বলেন ড. রেজা কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণঅধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান, তারেক রহমান প্রমুখ।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমার দেশের অর্থনীতি পোশাক শিল্পের ওপরে নির্ভর করে টিকে নেই। আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে প্রবাসীর রেমিট্যান্স থেকে। প্রবাসীরা সোনার মানুষ। এয়ারপোর্টে এলে প্রবাসীদের সঙ্গে যেসব ব্যবহার করা হয় তা খুবই আপত্তিজনক। তাদের অধিকার নেই। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীদের অধিকার বাস্তবায়ন হবে, আইনের শাসন থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা একটি জোট থেকে চলে এসেছি। তবে জোট থেকে চলে এলেও খুনি সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে, ভোটের জন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। অবৈধ সরকার হটানোর যুদ্ধ থেকে আমরা বেরিয়ে আসিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, একটা সময় রিজার্ভ কী, মানুষ সেটাই জানতো না। এখন কেন রিজার্ভ কমলো, সে প্রশ্ন করছেন সবাই। দেশের এমপি-মন্ত্রী-আমলারা ব্রিফকেস ভরে ডলার পাচার করার কারণে রিজার্ভ ফুরিয়ে এসেছে। অনিয়ম করলে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই এমন হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে যান। আমাদের ক্ষমতা ছেড়ে দিন। এক বছরের মধ্যেই পরিবর্তন করে দেবো।

নুরুল হক নুর বলেন, আগামী নির্বাচনটি হবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষার, গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য। এ নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে। আর নির্বাচনের জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানানো হলে আমরা সহযোগিতা করবো। এ নির্বাচনের জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা করা হলে সংঘাত থাকবে না। একটি সংলাপের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, আজ প্রবাসীরা নানাভাবে অবহেলিত হচ্ছেন। তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। সম্মান দেওয়া হয় না। তারা কষ্টে থাকলেও প্রবাসে দেখার কেউ নেই। প্রবাসীরা ঘর বানাতে গেলে যুবলীগের কাছ থেকে ইটের খোয়া কিনতে হবে, ছাত্রলীগের কাছ থেকে বালি কিনতে হবে। এভাবেই লুটপাট করা হচ্ছে চারদিক।

Exit mobile version