বিদেশীগামী কয়েক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থী, চিকিৎসা ও পর্যটনের জন্য বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যাওয়া মানুষের মধ্যে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসে এ চাহিদা আরও বাড়ে। কিন্তু চলমান ডলার প্রাপ্তির সংকটে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ বিদেশগামী যাত্রীরা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিয়মিত গ্রাহক হয়েও ব্যাংক থেকে ডলার পাচ্ছেন না মাঝারি ও ছোট গ্রাহকরা। মানি চেঞ্জারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১১৩ টাকা বেঁধে দিয়েছে। সেই দামে কোথাও ডলার বিক্রি হচ্ছে না। তবে বড় গ্রাহকরা সহজে পেয়ে যাচ্ছেন ডলার। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো শুধু ডলার সরবরাহের প্রত্যয়ন করে দিচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দরের চেয়েও অনেক বেশি দাম দিয়ে খোলাবাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা, ভ্রমণ ও বিশেষকাজে বিদেশগামী সাধারণ যাত্রীরা। ফলে ভ্রমণে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ডলার-সংকটের এ সময়ে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে। বাংলাদেশিরা গত আগস্টে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ ৭৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন ভারতে। এরপরই ক্রেডিট কার্ডের বেশি ব্যবহার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে। ব্যাংকাররা বলছেন, চিকিৎসা ও পর্যটনের জন্য প্রতি মাসে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে যান। প্রচুর শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করছেন। তাই এসব দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ডলার সংকটের কারণে তা বেড়ে গেছে।
বিদেশগামী ইফতেখার হোসেন শেয়ার বিজকে বলেন, আমি চীনে যাব। বেশ কয়েকটি ব্যাংকে গেলাম, তারা আমাকে ডলার দিতে পারছে না; বলছে, ডলার বাইরে থেকে কিনে ব্যাংক থেকে এনডোর্স করে নিতে। এতে খরচ পড়ছে বেশি। কার্ব বাজার থেকে ১১৯ টাকায় ডলার কিনলাম, আবার ব্যাংক এনডোর্স ফি নিল ৫৭৫ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ন্যাশনাল ব্যাংকের এক ব্যবস্থাপক শেয়ার বিজকে বলেন, ডলার সংকটের কারণে সবাইকে ডলার দিতে পারছি না। নিয়মিত এলসির পেমেন্ট দিতে হিমশিম খাচ্ছি, বিদেশ ভ্রমণকারীদের কীভাবে ডলার দেব? আমরা কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করছি।
উল্লেখ্য, খোলাবাজারে বছরে তিন থেকে চার কোটি ডলার লেনদেন হয়। দেশের অর্থনীতির যে আকার, তার তুলনায় এ লেনদেন খুবই সামান্য।
শেয়ার বিজ