বছরখানেক আগেও ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলিই ছিলেন শেষ কথা। ব্যাটে রানের ফোয়ারা, দলের নেতৃত্বও তাঁর কাঁধে। ভারতীয় ক্রিকেটে অধিনায়ক কোহলির অধ্যায় এখন অতীত। ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে বোর্ড। টি–টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে নিজে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও সেটাও তো একপ্রকার চাপে পড়েই করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কোহলির ব্যাটেও রান নেই। সে প্রভাবটাই পড়েছে নেতৃত্বে। কোহলির পারফরম্যান্সে জং ধরল কেন? এর পেছনে অনেক কারণই থাকতে পারে। তবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট তারকা শোয়েব আখতার মনে করেন, বিয়ে করেই পথ হারিয়েছেন কোহলি। এমনকি, কোহলির জায়গায় থাকলে বিয়ে পর্যন্ত করতেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক এই গতি তারকা।
ভারতীয় পত্রিকা দৈনিক জাগরণকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোয়েব বলেন, ‘আমি ওর জায়গায় থাকলে বিয়ে করতাম না। শুধু রান করতাম ও ক্রিকেটটা উপভোগ করতাম। ক্রিকেটে ১০-১২ বছর একটা সেরা সময় যায়। এটা আর ফিরে আসে না।’
কোহলি খেলাটা আরও উপভোগ করতে পারতেন বলে মনে করেন শোয়েব, ‘আমি বলছি না বিয়ে করা ভুল। কিন্তু ও যেভাবে ভারতের হয়ে ভালো খেলছিল, সেটা আরও একটু উপভোগ করতে পারত। ভক্তরা কোহলির জন্য উন্মাদ। ২০ বছর ধরে ও যে ভালোবাসা পাচ্ছে, সেটা ওকে ধরে রাখতে হবে।’
শোয়েবের চোখে বিয়ে মানেই নতুন জীবনে প্রবেশ করা আর এর সঙ্গে দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া, ‘সন্তান-পরিবার ইত্যাদি মিলিয়ে একটা চাপ তো থাকেই। দায়িত্ব যত বাড়ে, চাপও তত বাড়ে। ক্রিকেটারদের ১৪-১৫ বছরের ছোট ক্যারিয়ার থাকে। যেখানে পাঁচ-ছয় বছর শীর্ষে থাকে কোনো ক্রিকেটার। বিরাট সেই বছরগুলো কাটিয়ে এসেছে। এখন ওকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।’
নিজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন ,‘ একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে অনেক বিষয়ে ভাবতে হয়। আমি বিয়ের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, খেলার সময় অন্য কোনো চাপ থাকা উচিত নয়। শুধু দুর্দান্ত খেলা নিয়ে ভাবা উচিত। আমি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরই বিয়ে করেছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হয়, ব্র্যান্ড সামলাতে হয়, এর সঙ্গে আর সবকিছু সামলাতে হয়।’ যদিও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২২৪ ম্যাচের একটিতেও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেননি শোয়েব।
২০১৭ সালে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকে বিয়ে করেন কোহলি। গত বছর মা–বাবা হয়েছেন তাঁরা।