১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সোহেল। নব্বইয়ের দশকে ওয়ানডে বা টেস্ট যেকোনো সংস্করণেই সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটি হয়ে উঠেছিল প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ংকর। সোহেল অবশ্য সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করে। তিনি কিছু দিন আগে আরেক সাবেক অধিনায়ক ও তাঁর সাবেক সতীর্থ ওয়াসিম আকরামকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ১৯৯২ সালের পর পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ না জিততে দেওয়াই নাকি ছিল আকরামের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
সোহেলের কোহলির প্রসঙ্গে কেন মিয়াঁদাদকে টেনেছেন সেটিরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘পাকিস্তানের গ্রেট ক্রিকেটারদের তালিকা করলে অবশ্য জাভেদ মিয়াঁদাদের নাম এসে যাবে। এটার কারণ তিনি তাঁর খেলা দিয়ে গোটা দলকে উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন। তাঁর সঙ্গে জুটি হলে যেকোনো ব্যাটসম্যানেরই অনেক কিছু শেখার থাকত। নিজের খেলাটাকে আরও ওপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকত। ঠিক একই ব্যাপার হচ্ছে কোহলির ক্ষেত্রে। ওর আশপাশের সব খেলোয়াড়দের দিকে যদি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, সবাই কম বেশি নিজেদের খেলার উন্নতি করেছে, এটা কোহলির কারণেই হয়েছে।’
কোহলি এরই মধ্যে ৮৬টি টেস্ট, ২৪৮ ওয়ানডে আর ৮২টি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। টেস্ট তাঁর রান ৭ হাজার ২৪০, ওয়ানডেতে ১১ হাজার ৮৬৭ আর টি–টোয়েন্টিতে (আন্তর্জাতিক) ২ হাজার ৭৯৪। টেস্টে ২৭ আর ওয়ানডেতে ৪৩টি সেঞ্চুরিই তাঁর গ্রেটনেসের বড় বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে। আর ৭টি সেঞ্চুরি হলেই তিনি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন।