Site icon The Bangladesh Chronicle

কোর্ট-কাচারিতেই সময় কাটে বিএনপি নেতাকর্মীর

কোর্ট-কাচারিতেই সময় কাটে বিএনপি নেতাকর্মীর

মামলার জালে নাজুক অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রায় সব নেতাকর্মীরই একই অবস্থা। মামলার ‘ভারে’ নুয়ে পড়ছেন তারা। খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। প্রতিদিন মামলার হাজিরা দিতে তাদের আদালতের বারান্দায় দিন পার করতে হচ্ছে। ছিন্নভিন্ন হতে চলেছে পারিবারিক সম্পর্ক। স্বজনের ‘বোঝা’ হিসেবে আবির্ভূত হতে হচ্ছে প্রত্যেক নেতাকর্মীকে।

দুর্দিনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দীর্ঘদিনের মুখচেনা আপন আর শুভাকাঙ্ক্ষীরাও। মাথায় মামলার বোঝা নিয়ে বেকার জীবনে তাদের অনেকে ঢাকা শহরে রিকশা চালান, কেউ দারোয়ান, কেউ মোটরসাইকেল রাইড শেয়ার করেন, কেউ চালান উবার। আবার অনেকে চক্ষু লজ্জায় দাঁত কামড়ে আছেন সুদিনের অপেক্ষায়। এ যেন এক মানবেতর জীবন তাদের। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে এ চিত্র পাওয়া যায়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, তাদের সমসাময়িক বন্ধুরা ব্যবসা-চাকরি করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। বিয়েসাদি করে থিতু হয়েছেন, নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের বন্ধুরাও আছেন উঁচু স্তরে। গড়েছেন বাড়ি-গাড়ি। আর তারা রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যস্ত থাকেন মিছিল-মিটিংয়ে। তার পরিণতি– কারাগার কিংবা ফেরারি জীবন। কাজকর্মহীন এই জীবনে এখন বড় আপদ– একাধিক রাজনৈতিক মামলা। পরিবার থেকে নিতে হচ্ছে মামলার খরচ। এতে অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলা আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের স্বীকার হতে হচ্ছে তাদের। জুটছে তিরস্কার। এর মধ্যেও তারা আশাবাদী। একদিন তাদের এই কষ্টের অবসান ঘটবে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আত্মবিশ্বাসী তারা।

বিগত ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি– ২০০৯ সালের পর থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৪ মামলায় ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ৪৯২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলার বাইরে গত ২৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ১ হাজার ৬৪৫ মামলায় প্রায় ৭০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। যার মধ্যে ২৫ হাজার ৭১১ জনকে গ্রেপ্তার করে নেওয়া হয় কারাগারে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, মামলার ভারে ন্যুব্জ দলের প্রত্যেককে সপ্তাহে গড়ে তিন থেকে চার দিন আদালতপাড়ায় যেতে হয়। এতে তাদের সপ্তাহে নিম্নে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা শুধু মামলার পেছনেই চলে যায়। এভাবে শুধু ওই নেতাকর্মী নন, তাদের পুরো পরিবার এখন দেউলিয়ার পথে। মামলা চালাতে গিয়ে জমিজমা, স্ত্রীর গহনা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে অনেক নেতাকর্মীর। এই মামলার কারণে কোনো চাকরি করতে পারছেন না, তেমনি কোনো ব্যবসাও করতে পারছেন না। অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ, আবার অনেকের চাকরিও চলে গেছে।

আর্থিক সংকটে তৃণমূল নেতাকর্মী

ষাট বছর বয়সী আলী হোসেন একজন রিকশাচালক। দলে কোনো পদ-পদবি নেই। রাজধানীর নয়াপল্টনকেন্দ্রিক কোনো সমাবেশ হলেই অন্য রিকশাচালকদের নিয়ে রিকশা মিছিল বের করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে কোনো মামলা না থাকলেও গত ১১ নভেম্বর সায়েদাবাদ রেলগেট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে একে একে চারটি মামলা দেওয়া হয়। সাত মেয়ে আর তিন ছেলের জনকের পুরো পরিবার থাকে রংপুরে। এই রিকশা চালিয়েই তাঁর সংসার চলে। কারাগারে যাওয়ার পর চোখে শর্ষে ফুল দেখতে শুরু করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। লাখ টাকা ঋণ করে আত্মীয়স্বজন ধরে তাঁকে ২৮ জানুয়ারি জামিনে বের করলেও মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে এখনও। প্রতি মাসে অন্তত দু’বার আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে।

আলী হোসেনের ছেলে এসএসসি পড়ুয়া সোহেল মিয়া জানায়, বাবা গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে। সংসারে এতগুলো মানুষের মুখে খাবার জোগাড় করতে কাজে নেমে পড়ে সে। পরীক্ষাটা আর তার দেওয়া হলো না। এখন ঋণের বোঝা কেমনে কাটবে, তা নিয়েই তাদের পুরো পরিবার দুশ্চিন্তায়।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুরুল হুদা শাহীন। রাজনীতির পাশাপাশি ছিলেন ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাজারে ছিল রড-সিমেন্টের দোকান। কিন্তু রাজনীতির কারণে সবকিছু খুইয়ে এখন তিনি নিঃস্ব। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়েছে, বাড়িঘরেও চলেছে তাণ্ডব। রক্ষা পায়নি তাঁর শিশুসন্তানও। বেকার জীবনে এখন বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক চার মামলা। নিজে খেতে পারুন বা না পারুন; সন্তানদের ভরণপোষণ দিতে পারুন বা না পারুন, মামলার হাজিরা থেকে নিস্তার নেই। স্ত্রীর গহনা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে।

শাহীন বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁর মতো বিএনপির লাখো নেতাকর্মী সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন। একদিন তারা মামলার জাল থেকে মুক্তি পাবেন।

শুধু আলী হোসেন, নুরুল হুদা শাহীন নন– বিএনপির প্রায় সব নেতাকর্মীর জীবনের বাস্তবতা এখন এর চেয়েও যেন করুণ। বিশেষত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সেটা যেন আরও বেড়ে গেছে শত-সহস্র গুণ বেশি। অনেক নেতাকর্মীই এখন নিজ এলাকা ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছেন কিছু একটা করার তাগিদে, কেউ বিদেশে ছুটছেন প্রবাস জীবনে। তবে সবারই পিছুটান ওই মামলা। নিয়মিত হাজিরা না দিলে পরোয়ানা জারি হবে, বাড়িতে পুলিশ যাবে, স্বজন হয়রানির শিকার হবেন– এই ভয় তাদের তাড়া করছে প্রতিনিয়ত।

তৃণমূলের মতো কেন্দ্রের অবস্থাও ভয়াবহ। যেসব নেতা ‘ক্ষমতার স্বাদ’ গ্রহণ না করে রাজনীতি করছেন, তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ভালো নেই কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ নেতারাও। ১৭ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন তলানিতে, তেমনি শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এখন আর কাছে ভিড়তে চান না।

ঢাকা মহানগরীর শীর্ষ নেতাদের খণ্ডচিত্র

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন কেন্দ্রীয় যুবদলের এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন। এক বছর পর জামিনে মুক্তি মেলে তাঁর। এ সময়ের মধ্যে তাঁর জন্য ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম সুমনকেও কারাগারে যেতে হয়েছিল। বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর একমাত্র আয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। একের পর এক পুলিশের রিমান্ড, কারাগার, আদালত আর মামলার পেছনে চলে গেছে কয়েক লাখ টাকা। যার বেশির ভাগই বহন করতে হয়েছে পরিবারকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ভাইবোন আর স্বজন অকৃত্রিমভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারেক রহমান আজীবন পাশে থাকবেন– এমন প্রত্যাশা ছোট ভাই সুমনের। কিন্তু পরিবারের পক্ষে সেটা আর কতদিন সম্ভব হবে– এমন জিজ্ঞাসা তাদের।

রাজনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড হারাতে হয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা হাবিবুর রশীদ হাবীবকে। ২০১৪ সালের পর আর সেখানে যেতে পারেননি বলে ২০২০ সালে গ্রিনকার্ড চলে যায়। তাঁর ৭৫ বছর বয়সী মা রহিমা খাতুন জানান, হাবীবের অন্য দুই ভাই ও দুই বোন আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সেখানে হাবীবের পরিবারও ছিল। ছাত্রদল থেকে উঠে আসা হাবীব ২০০৯ সালে দেশে চলে এলেও তাঁর ভাইবোনরা হাবীবের স্ত্রী-সন্তানদের রেখে দেন। তখনই তারা বলেছিলেন, ‘হাবীব রাজনীতি করবে আর জেলে যাবে। সেখানে পরিবারটা অন্তত শান্তিতে থাকুক।’

এই কয়েক বছরে ১৪৭ মামলায় ছয়বার জেলে গেছেন, আর রিমান্ডে গেছেন ৮৬ দিন। তিন মামলায় সাত বছরের সাজা হয়েছে সম্প্রতি। একেবারে ছোট ছেলেকে দেখাশোনার জন্য মা রহিমা খাতুন নিজেও আমেরিকার উন্নত জীবন ত্যাগ করে দেশে রয়ে গেছেন। হাবীবের ফেরারি জীবনের শুরুটা হয় আদালতের বারান্দা দিয়ে। প্রতিনিয়ত বাসায় র‍্যাব, পুলিশ আর এজেন্সির লোকেরা আসে হাবীবকে খুঁজতে। সেগুলোকেও তাঁর সামাল দিতে হয়। কারাগারে গেলে এই বৃদ্ধ বয়সে তাঁকেই ছুটতে হয় আদালতপাড়া আর জেলখানায়।

হাবীব জানান, তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলে আমেরিকা থাকেন। ১০ বছর ধরে তাঁকে যেতে দেয়নি সরকার। সন্তানদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা হয়, সেখানেই আদর করতে পারেন। তিনি বলেন, গ্রিনকার্ড হারিয়ে তাঁর মধ্যে দুঃখ নেই। সহযোদ্ধাদের অনেকে জীবন দিয়েছেন, অনেকে গুম হয়েছেন, অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। সেদিকে তাকালে অন্তত নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারি।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক। দেশে-বিদেশে পরিচিত মুখ আমিনুল ২০১৫ সালে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন দেশের সেবা করার জন্য। পরিচ্ছন্ন এই রাজনীতিবিদকে এরই মধ্যে তিনবার কারাগারে যেতে হয়েছে, দেওয়া হয়েছে ২৮টি রাজনৈতিক মামলা। রিমান্ডও খাটতে হয়েছে ১৫ দিন।

বিরোধী দলের রাজনীতি করার জন্য নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পরিবারের ব্যবসাকে ফেলেছেন হুমকির মধ্যে। সাড়ে ছয় মাসের কারাজীবনে ওলটপালট হয়েছে তাঁর সবকিছু। ফেরারি জীবনে সন্তানরা তাঁকে কাছে পায় না, আয়ের পথও প্রায় রুদ্ধ। তবে এসবকে তিনি তোয়াক্কা না করে বলেন, দেশে গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার ফিরলে সারাদেশের নেতাকর্মীর আত্মত্যাগ সফল হবে।

দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রায় একই অবস্থা চলছে। কবে এই মামলা থেকে তারা রেহাই পাবেন, কবে আবার মুক্ত বিহঙ্গ হবেন, তা কেউ বলতে পারছেন না। এক অনিশ্চিত জীবনে দলের কেন্দ্র থেকে একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা।

‘একই অবস্থা’ কেন্দ্রীয় নেতাদেরও

তৃণমূল ও মহানগর নেতাকর্মীর চেয়েও বেশি মামলার আসামি কেন্দ্রীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। পুরো পরিবারকেই রাজনীতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে। এক ভাই দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আছেন কারাগারে। টুকুর বিরুদ্ধেও রয়েছে চার শতাধিক মামলা। এরই মধ্যে তিন মামলায় সাত বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। ফেরারি জীবনে চার মাসের বেশি সময় পরিবার থেকে দূরে আছেন। বিগত আড়াই মাসের আন্দোলনে ভূমিকার জন্য রাজধানীর প্রায় প্রতিটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। তিন মামলায় সাজা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে আত্মগোপনে থাকা এ নেতার বিরুদ্ধে আগের মামলায় হাজিরা দেওয়া হয়নি।

যদিও তিনি জানান, এখন দেশে যে রাজনীতির প্রচলন শুরু করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার তাতে শুধু তিনি নন, বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীর নামে এই গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে এসব করে কোনো লাভ নেই। বিএনপির নেতাকর্মীরা এই মামলা-হামলা আর নির্যাতনকে পরোয়া করেন না। এসব গায়েবি মামলা দিয়ে তাদের চলমান আন্দোলনও বন্ধ করা যাবে না।

যুবদলের কেন্দ্রীয় এক নম্বর সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন। গত ৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় বোনের বাসায় তাঁর মা উম্মে কুলসুম মারা যান। পরদিন তাঁকে ভোলার চরফ্যাসনে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। তবে একমাত্র ছেলে নয়ন যেতে পারেননি মায়ের দাফন আর জানাজায়। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ উপস্থিত হওয়ায় একমাত্র বড় বোন এবং স্বজনের নিষেধে মাকে দেখা হয়নি নয়নের। তাঁর বাবাও ক্যান্সারে আক্রান্ত। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাসায় ফিরতে না পারায় বাবার পাশেও থাকতে পারছেন না। নয়নের বোন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাই বিএনপির রাজনীতি করে,  এটাই তার অপরাধ!

কথা হয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের পরিবারের সঙ্গে। জানা যায়, এই রাজনীতির নেশায় দীর্ঘ ১৭ বছরে মামলা জুটেছে ১৭৬টি। এর মধ্যে চার মামলায় সাজা হয়েছে সাড়ে আট বছর। তাঁর মা ফরিদা বেগম জানান, ছেলে রাজনীতি করে– এটা একসময় গর্বের বিষয় ছিল। এখন এটা আতঙ্কের বিষয়। রাজীবের বাবা নেই। একমাত্র ছেলের কাছ থেকে আশা-প্রত্যাশাও বেশি ছিল পুরো পরিবারের। আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ রাজীব এতদিন পরিবারের কাছ থেকেই পেয়েছেন সব ধরনের সহায়তা। দুই বোন জামাই ছাড়াও বাবার রেখে যাওয়া জমি থেকে আসা আয় থেকে ব্যয় করেছেন পুরো রাজনীতি আর নিজের মামলা পরিচালনার খরচ। কিন্তু আর কতদিন এভাবে চলবে– এমন জিজ্ঞাসা তাঁর মায়ের।

রাজীব আহসান বলেন, তৃণমূল থেকে জিয়া পরিবার পর্যন্ত একই ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র বিরাজমান। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীর ত্যাগের ইতিহাস, নির্যাতনের কথা খুবই করুণ। এর মধ্য দিয়েই তারা দেশের গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবেন। যারা এই আন্দোলনে আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের ঋণ শোধ করবেন।

samakal

Exit mobile version