- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকারের যে কুকীর্তি গুলো বেরিয়ে পড়েছে, সেই কুকির্তী গুলো ঢাকার জন্য তারা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের আশ্রয় নিয়েছে। জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেয়া হয়েছে। কারণ তারা চায়, বিএনপি এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকুক তাহলে আমাদের কুকির্তী গুলো যেগুলো দেশে-বিদেশে প্রচারিত হচ্ছে এই বিষয়ে আর কেউ কথা বলবে না।’
রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যে ঝড় উঠেছে এই ঝড়ের মধ্যে বালিতে মাথা গুঁজে রাখলে ঝড়ের প্রভাব কিন্তু কমবে না। এই ঝড়ে মাফিয়াতন্ত্র লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। চারিদিকে অন্যায়, অবিচার, ও গুম-খুন যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে, এটা চিরদিন চলতে পারে না। এর অবসান হবেই। এত অন্যায় অবিচার, এত রক্তপাত এর মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ চলতে পারেনা। এই দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরে আসবে। এই অপরাধীদেরও বিচার হবে।’
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘মাফিয়াতন্ত্র তারা এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যাই হোক তারা কোন তোয়াক্কা করে না। আল-জাজিরায় যারা রিপোর্ট করেছে তারা বাংলাদেশে খায় না পরে? তারা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একটি দেশের ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে গিয়ে কি পরিমাণ অন্যায় হয়েছে, তার একটি রিপোর্ট করেছেন। তাদের সাথে কোন দেনাপাওনা নেই যে তারা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই রিপোর্ট করেছে। তারা যেটা করেছে এটা হল একটা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অংশ। আপনারা সেটাও সহ্য করতে পারলেন না। নানাভাবে কথা বলেও যখন এটাকে ধামাচাপা দিতে পারলেন না তখন আপনাদের তৈরি করা আদালতের বিচারকদের দিয়ে সেই কাজটি করালেন। যে আদালত বলছে ইউটিউব এবং ফেসবুকে আল-জাজিরার যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এটা বন্ধ করে দিতে হবে। হাসিনা মাঝে মাঝেই বলেন গণতন্ত্রের কথা, এই হচ্ছে তার গণতন্ত্রের নমুনা।’
এ সময় রুহুল কবির রিজভী সরকারের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘আজকে আইন-আদালত, বিচারক সব মাফিয়াতন্ত্রের অধীনস্থ। রাষ্ট্রশক্তি যেখানে মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে কোনো আইন-আদালত ও প্রশাসন কেউ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। তারা প্রত্যেকেই সরকারের মুখাপেক্ষী। তারা প্রত্যেকেই শেখ হাসিনার মুখাপেক্ষী। সংবিধান যে অধিকারটুকু দিয়েছে, সেই অধিকারকে বানচাল করে আদালত কি করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে নির্দেশ দিতে পারে যে আপনারা ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে এই রিপোর্ট সরিয়ে ফেলতে হবে?’
আয়োজক সংগঠনের সদস্য এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি ডাক্তার দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ বক্তব্য দেন।