Site icon The Bangladesh Chronicle

কিছু রাজনীতিবিদ জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি

logo

জাতীয় নিরাপত্তা কেবল সীমান্ত, সেনাবাহিনী বা পুলিশের বিষয় নয়- এটি একটি সামগ্রিক ও বহুমাত্রিক কাঠামো, যেখানে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা, ঐকমত্য ও দায়িত্বশীল আচরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশে রাজনীতিবিদদের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা ও সমন্বিত প্রতিশ্রুতির অভাব লক্ষ করা যায়। রাজনীতি কোনো দেশের জন্য শক্তি ও নেতৃত্বের উৎস কিন্তু একই সাথে যদি রাজনীতিবিদদের কর্মকাণ্ড দ্ব›দ্ব, বিভাজন বা সংবিধানবিরোধী হয়, তাহলে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে কিছু সময় কিছু রাজনীতিবিদের কর্মকাণ্ড জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে- এ বিষয়টি সমালোচনামূলক ও গভীরভাবে দেখা দরকার। নিচে বিষয়টি বিশ্লেষণসহ তুলে ধরা হলো :

দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার

ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার রাষ্ট্রীয় নীতি ও প্রকল্পকে দুর্বল করে। এটি অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও সামরিক ও প্রশাসনিক প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটায়। ক্ষমতার অপব্যবহার একটি দেশের জাতীয় উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য অন্যতম প্রধান ব্যাধি। যখন কোনো রাজনৈতিক নেতা বা সরকারি কর্মকর্তা নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করেন, তখন রাষ্ট্রীয় নীতি ও প্রকল্প দুর্বল হয়। প্রয়োজনীয় উন্নয়নমূলক প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মে কাবু হয়ে পড়ে। ফলে জনগণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় এবং সরকারি কাজের কার্যকারিতা হ্রাস পায়।

জনসম্পদ অপচয় ও বাজেট কেলেঙ্কারি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে বিদেশী বিনিয়োগ কমে এবং দেশের আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতা দুর্বল হয়। সামরিক ও প্রশাসনিক প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বরাদ্দ ও সামরিক সরঞ্জামের ক্রয়ে দুর্নীতি হলে বাহিনীর সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি প্রশাসনিক বিভাগে অনৈতিকতা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কঠিন হয়ে পড়ে। দুর্নীতিপরায়ণ সরকার ও নেতাদের প্রতি জনগণের আস্থা ভেঙে যায়, যা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সামাজিক বিব্রতকর পরিস্থিতি ডেকে আনে।

দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নির্মূল করতে হলে শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদন্তপ্রক্রিয়া গড়ে তুলতে হবে। সরকারি সম্পদের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করতে হবে। জনমত ও মিডিয়ার ভূমিকা জোরদার করতে হবে এবং নৈতিক নেতৃত্ব ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সহিংসতা উসকানি

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতবিরোধ ও সমালোচনা স্বাভাবিক কিন্তু যখন রাজনৈতিক নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনাকর ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দেন, কিংবা তাদের কর্মসূচি সহিংস রূপ নেয়, তখন তা জাতীয় নিরাপত্তা, সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নাগরিক জীবনের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। রাজনৈতিক নেতাদের উত্তেজনাকর ভাষণ যেমন- ‘শত্রুকে শিক্ষা দিতে হবে’, ‘রাজপথ দখল করব’, বা ‘রক্তের বিনিময়ে প্রতিশোধ’-এমন বক্তব্য মাঠপর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে প্রতিহিংসার মনোভাব তৈরি করে।

প্রচারণা বা বিক্ষোভ সমাবেশের নামে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা লাঞ্ছনার মতো কর্মকাণ্ড জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করে। একটি পক্ষ যখন হিংসাত্মক অবস্থান নেয়, তখন প্রতিপক্ষও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই সংঘর্ষ জাতীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সরকার, প্রশাসন, এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর চাপ তৈরি হয়। সহিংসতার ফলে রেলপথ, যানবাহন, সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে জাতিকে ক্ষয়িষ্ণু করে তোলে।

রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব হলো শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার রক্ষা করা, সহিংসতা উসকে দেয়া নয়। জাতীয় শান্তি বজায় রাখতে হলে রাজনৈতিক বক্তব্যে শালীনতা নিশ্চিত করতে হবে, সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, নির্বাচনপূর্ব সময়ে সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে যে, ‘সহিংসতা নয়, সংলাপই পথ’।

দ্বিপক্ষীয় বিভাজন ও গোষ্ঠীবাদ উসকানি

যখন রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় স্বার্থে জাতিগত, ধর্মীয় বা আঞ্চলিক বিভাজনকে উসকে দেয়, তখন একটি বহুধাবিচ্ছিন্ন, অবিশ্বাস ও উত্তেজনায় পরিপূর্ণ সমাজ গড়ে ওঠে। এতে গণতন্ত্র দুর্বল হয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। সামাজিক সংহতির অবক্ষয় দলীয় উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উসকানি, জাতিগোষ্ঠীকে আলাদা করে দেখা, অথবা নির্দিষ্ট অঞ্চলকে অবমূল্যায়ন করা হলে সামগ্রিক জাতীয় সংহতি বিনষ্ট হয়। মানুষ নিজেদের পরিচয়কে রাষ্ট্রের চেয়ে গোষ্ঠীগত পরিচয়ের ভিত্তিতে বিবেচনা করতে শুরু করে।

গোষ্ঠীভিত্তিক রাজনীতির কারণে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, উগ্রবাদী আন্দোলন বা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলো সুযোগ পায় জনগণের মধ্যে অসন্তোষকে কাজে লাগায়। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চল, সীমান্তবর্তী এলাকা বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ ধরনের মনোভাব সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

আঞ্চলিক রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অনেক সময় গোষ্ঠীভিত্তিক চাঁদাবাজি, সশস্ত্র আধিপত্য বা বেআইনি শাসন কায়েম হয়, যা আইনের শাসনকে দুর্বল করে। বিদেশী হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হয়। গোষ্ঠীগত বৈষম্য ও সহিংসতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসে এবং বিদেশী শক্তি এ সুযোগে কৌশলগত প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী হয়। এতে অভ্যন্তরীণ সঙ্কট আন্তর্জাতিকায়ন হয়ে পড়ে। জাতীয় ঐক্য ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল ও নেতার উচিত গোষ্ঠীভিত্তিক বৈষম্যমূলক ভাষা ও নীতি পরিহার করা, রাষ্ট্রকে সবার জন্য সমান সুযোগের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, ধর্ম, জাতি বা অঞ্চলের ভিত্তিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং আইনের শাসনের মাধ্যমে গোষ্ঠীগত অপরাধ কার্যক্রম দমন করা। জাতির সংহতি বিনষ্ট হলে কোনো উন্নয়ন বা নিরাপত্তা স্থায়ী হয় না। তাই বিভাজন নয় সম্প্রীতি ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রগঠনের দৃষ্টিভঙ্গিই জাতীয় স্বার্থে শ্রেয়।

বিদেশী শক্তির প্রভাব ও মদদ গ্রহণ : একটি জাতীয় নিরাপত্তা সঙ্কট

কিছু রাজনীতিবিদ যদি বৈদেশিক শক্তির সাথে গোপন যোগাযোগ স্থাপন করে বা তাদের থেকে রাজনৈতিক, আর্থিক বা কূটনৈতিক সমর্থন গ্রহণ করে, তাহলে তা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এমন সম্পর্ক দেশের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবাঞ্ছিত বিদেশী হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করে। বিদেশী মদদে প্রভাবিত রাজনীতিবিদরা দেশের স্বার্থের পরিবর্তে বাইরের শক্তির স্বার্থ সাধনে মনোযোগী হতে পারে, যা জাতীয় নীতি ও নিরাপত্তা নীতিকে দুর্বল করে।

বিদেশী শক্তির সাথে সম্পর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিরা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করে দিতে পারে, যা জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিদেশী হস্তক্ষেপের কারণে রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিভাজন বৃদ্ধি পায়, যা দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং সহিংসতার পথ প্রশস্ত করে। বিদেশী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সামাজিক নীতি প্রভাবিত হলে দেশের অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিদেশী শক্তির অবৈধ প্রভাব ও মদদ গ্রহণ প্রতিরোধ একান্ত জরুরি। এ জন্য রাজনৈতিক নেতাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং জনগণ ও মিডিয়ার মাধ্যমে এই হুমকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

সশস্ত্রবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার স্বাধীনতা, আইনি ফ্রেমওয়ার্কে বিদেশী অনুদান/চুক্তিতে জবাবদিহিতা জনমুখী সাংবাদিকতা ও নাগরিক নজরদারি এই পদক্ষেপগুলো ছাড়া বিদেশী স্বার্থান্বেষী সিদ্ধান্তগুলো রোধ করা কঠিন, যা দেশের সার্বভৌমত্ব তথা নিরাপত্তাকে দৃঢ় রাখার জন্য অপরিহার্য।

আইনশৃঙ্খলা ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড

একটি দেশের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সংবিধানানুগ শাসনবিধি বজায় রাখা অপরিহার্য। কিন্তু যদি কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী বা ব্যক্তি সংবিধান ও আইনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে তা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা বাড়ায়। আইনকে অবজ্ঞা করলে প্রশাসনিক ও বিচারব্যবস্থা দুর্বল হয়, যার ফলে অপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, সংবিধান ও আইনের প্রতি অবজ্ঞা রাজনৈতিক সঙ্ঘাত এবং বিক্ষোভকে উসকে দেয়, যা সরকারের ক্ষমতা প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা বাড়ায়।

সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডের ফলে শাসনব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা কমে যায় এবং নির্বাচিত সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পায়। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। আইনশৃঙ্খলা না থাকায় দুর্নীতিবাজ ও স্বার্থান্বেষীরা নির্ভয়ে ক্ষমতা লুটতে পারে, যা রাষ্ট্রীয় নীতি ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে।

আইনশৃঙ্খলা ও সংবিধান রক্ষায় কঠোরতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয় এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। এ জন্য সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা ও আইন প্রয়োগে কঠোর নজরদারি, স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা গড়ে তোলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধানসম্মত সাংস্কৃতিক চেতনা প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।

উপসংহার

রাজনীতিবিদরা যদি নিজেদের স্বার্থে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ করেন, তাহলে দেশের উন্নয়ন, শান্তি ও সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তাই রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে নৈতিকতা, সংবিধান সম্মান, দায়বদ্ধতা ও জাতীয় স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গড়ে তোলা অতি প্রয়োজন। এ জন্য রাজনৈতিক সংস্কার, বিচারব্যবস্থার কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা ও রাজনৈতিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

বিদেশী শক্তির প্রভাব ও মদদ গ্রহণ কিছু রাজনীতিবিদ বিদেশী শক্তির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ বা সমর্থন পেতে পারে, যা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী, এমন প্রভাব জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য সরাসরি হুমকি। একটি কার্যকর ও টেকসই জাতীয় নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলতে হলে রাজনীতিবিদদের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দায়বদ্ধ থাকা অপরিহার্য :

সংবিধান ও জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালার প্রতি আনুগত্য, সংসদে নিয়মিত জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার সংস্কৃতি, বাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও জবাবদিহিমূলক আচরণ ও জাতীয় স্বার্থে সাংবাদিকতা দরকার। নাগরিক স্বাধীনতা ও প্রযুক্তির নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা, এই প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনো কৌশল, অস্ত্র বা প্রযুক্তি দিয়েই একটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

লেখক : সিনিয়র ফেলো, এসআইপিজি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি

Exit mobile version