Site icon The Bangladesh Chronicle

কার্যালয়ে অভিযানে ৫১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ বিএনপির

কার্যালয়ে অভিযানে ৫১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ বিএনপির – ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে ৫০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ও লুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ক্ষতি ও লুট হওয়া সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৫০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকার মতো। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা এই ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, কোনো অফিস বা গৃহ তল্লাশির সময় মালিকপক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসাবে রাখার সাধারণ আইন অগ্রাহ্য করেছে পুলিশ। তারা যা করেছে তা হানাদার বাহিনীর আচরণকে স্মরণ করিয়ে দেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি কার্যালয় থেকে ল্যাপটপ ও কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সরিয়ে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অফিস থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হার্ডডিক্স, নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র, নগদ অর্থ লুট করা প্রকৃতপক্ষে একটি ডাকাতির ঘটনা। ৭ ডিসেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলার পর পুলিশের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর ও মালামাল লুটে অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

ড. মোশাররফ অভিযোগ করেন, দলের মহাসচিবকে অফিসের নিচে বসিয়ে রেখে এবং দলের অন্য নেতাদের কয়েকটি কক্ষে আটকে রেখে অসংখ্য টিয়ারগ্যাস, গুলি, সাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। সাদা ব্যাগে করে নিজেরাই ককটেল নিয়ে মহাসচিবের ও জাসাস কার্যালয়ের টয়লেটে মোট ১৫টি ককটেল রেখে তা উদ্ধারের যে নাটক, মিডিয়ার কল্যাণে তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশে গণবিরোধী সরকারের নির্দেশে তার বিভিন্ন বাহিনী যে নির্মম নিষ্ঠুরতা ও বর্বর আচরণ করেছে তা শুধু বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করেনি। গণতন্ত্র হত্যাকারী ও বারবার গণতন্ত্র হত্যায় সহায়তাকারী বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অগণতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী ও গণবিরোধী পরিচয় পুনরায় প্রকাশ করেছে।

এ সময় তিনি বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

Exit mobile version