Site icon The Bangladesh Chronicle

কারাগারে বিএনপির ‘১৩ নেতা–কর্মীর’ মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত চেয়ে রিট

হাইকোর্ট

কারাগারে গত কয়েক মাসে বিএনপির ১৩ জন নেতা–কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠন ও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে রিটটি দায়েরের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়।

এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। পরে রিট আবেদনকারী আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, কারাবন্দী বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন জেলার ১৩ জন মারা গেছেন। কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় এই মৃত্যুর দায় কারা কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। দায় এড়ানো কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং ১৩ জনের পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনায় মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কারাগারের কারা কর্তৃপক্ষকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় যে মৃত্যুগুলো ঘটেছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ দেশের মানবাধিকার সংস্থার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে (কমিটিতে কারা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ না রেখে) তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই রিটের ওপর শুনানি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনে বিএনপির ১৩ নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারে কারাবিধির সব সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দী নেতা-কর্মীদের ওপর বীভৎস নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। তাঁদের খাওয়ার কষ্ট দেওয়া হচ্ছে, চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।

প্রথম আলো

Exit mobile version