Site icon The Bangladesh Chronicle

কলকাতাকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিলেন বরুন চক্রবর্তী

কলকাতাকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিলেন বরুন চক্রবর্তী – ছবি : সংগৃহীত

শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মোটে ৩৮ রান। হাতে ৫ উইকেট, মাঠে তখনো অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ছিলেন মার্কো জানসেন, আব্দুল সামাদের মতো পরীক্ষিত ব্যাটাররাও। অবিশ্বাস্যভাবে এখান থেকেও ম্যাচ হেরে গেছে সানরাজার্স হায়দরাবাদ। বৃহস্পতিবার আইপিএল ম্যাচে কলকাতার কাছে কমলা বাহিনীর হার ৫ রানে।

প্রায় হারতে বসা ম্যাচেও কলকাতার এমন অভাবনীয় জয়ের নায়ক বরুন চক্রবর্তী। ইনিংসের শেষ পাঁচ ওভারের তিনটিই করেন তিনি। যেখান থেকে মার্করাম, সামাদরা নিতে পারেন মোটে ১২ রান। তাছাড়া শেষ ওভারটাও করেন তিনি, যখন হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। সামাদও ছিলেন মাঠে৷ তবে দুই বল পর ফেরান তাকে, মোটে ৪ রান দেন সেই ওভারে।

অবশ্য শেষ ৫ ওভারের আগ পর্যন্ত ম্যাচে খুব ভালোভাবেই ছিল হায়দ্রাবাদ। যদিও একক কোনো শো ছিল না এদিন, তবে সম্মিলিত চেষ্টায় কলকাতার দেয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য দারুণভাবেই তাড়া করছিল অরেঞ্জ আর্মিরা। তবে দুই ওপেনার থেকে আশানুরূপ সহায়তা পায়নি তারা। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১১ বলে ১৮ ও অভিষেক শর্মা আউট হন ১০ বলে ৯ রানে।

তবে ম্যাচের মোড় ঘুরান ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা রাহুল ত্রিপাঠি। খেলেন ৯ বলে ২০ রানের ঝড়ো একটা ইনিংস। তবে হ্যারি ব্রুক রানের খাতাই না খুলেই বিদায় নিলে ফের কপাল কুঁচকে উঠে হায়দরাবাদের। চার উইকেটে ৫৪ রান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মার্করাম এবং ক্লাসেন। ৭০ রানের জুটি গড়েন দুজনে।

২০ বলে ৩৬ রান করে ঠাকুরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন ক্লাসেন। তারপর দলকে বিপদে ফেলে ৪০ বলে ৪১ রান করে বিদায় নেন মার্করামও। যদিও ভরসা দিচ্ছিলেন সামাদ, তবে বরুনের সাথে শেষ ওভারের লড়াইয়ে পেরে উঠেননি। আউট হন ১৮ বলে ২১ রান করে। হায়দ্রাবাদও থামে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানে।

এর আগে রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে কলকাতা। শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি তাদের। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। মার্কো জানসেনের শিকার হন তিনি। একই ওভারে ফেরেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ারও (৭)। দুই ওভার পরই দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ফেরেন জেসন রয়ও। ১৯ বলে ২০ রান করেন তিনি।

কলকাতা চতুর্থ উইকেট হারায় ৯৬ রানে। রিঙ্কু সিংয়ের সাথে ৪১ বলে ৬১ রান যোগ করেন নিতিশ রানা। ৩১ বলে ৪২ রান করে রানা আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে ২০ বলে ৩১ রান যোগ করেন রিঙ্কু। ১৫ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন আন্দ্রে রাসেল। সুনিল নারিনও ফেরেন দ্রুত।

শেষ দিকে শার্দুল ঠাকুরের সাথে ১৩ বলে ২১ ও অনুকুল রয়ের সাথে মিলে ১১ বলে ১৭ রান যোগ করেন রিঙ্কু। শেষ ওভারে আউট হবার আগে ৩৫ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সুবাদে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় কলকাতা। ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১৭১ রান।

Exit mobile version