স্টাফ রিপোর্টার
৩০ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ নিজেদের অধীনে রাখা এবং সব ধরনের পদে প্রেষণে পদায়ন বন্ধ করার জন্য ৪ঠা ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা। এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরের দিন থেকেই আন্দোলনে নামবেন তারা। গতকাল বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশন একটি সভা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে লিখিত সিদ্ধান্তগুলো ইসি সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও দিয়েছেন তারা।
কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো-এনআইডি সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সকল ধরনের প্রেষণে পদায়ন বন্ধ ও শূন্য পদ পূরণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্প লজিস্টিকসহ (ওয়্যারহাউজ ও যানবাহন) অনুমোদন ও প্রস্তাবিত সাংগঠনিক কাঠামো দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে ওই সব বিষয়ে আগামী ৪ঠা ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ৫ই ডিসেম্বর কালোব্যাজ ধারণ, ৮ই ডিসেম্বর অর্ধদিবস কলম বিরতি পালন করবেন ইসি কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া ওই সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। ঘোষিত কর্মসূচি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, এনআইডি, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মাঠপর্যায়ের সকল পর্যায়ের কার্যালয়ে একযোগে পালন করা হবে। তবে ইতিমধ্যে ঘোষিত নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
এদিকে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এনআইডি’র বিষয়টি একটি সরকারি সিদ্ধান্ত। কমিশন ইতিমধ্যেই তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে। সরকার যেটা বাস্তবায়ন করবে, আমাদের সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটার সঙ্গে এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারাও একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে কর্মকর্তারা এনআইডি ইসি’র অধীনে রাখার বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, সকল ধরনের পদ প্রেষণে পদায়ন বন্ধ ও শূন্য পদ পূরণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। এটি একটি যৌক্তিক বিষয়। তবে এখানে দুইটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। একটি হলো পদ শূন্য থাকতে হবে, আর অন্যটি হলো যোগ্যতা থাকতে হবে। এই দুইটি বিবেচনা করে অবশ্যই আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আইনে প্রেষণে অথবা উপযুক্ত লোকের কথা বলা আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না যোগ্য লোক পাওয়া যাবে ততক্ষণ তো প্রেষণেই থাকবে। তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের সচিব। তাদেরই একজন।