Site icon The Bangladesh Chronicle

করোনা নিয়ে ত্রিমাত্রিক তেলেসমাতি

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা: আবদুল্লাহ বলেছেন, করোনা নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। অন্য দিকে তথ্যমন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদের বক্তব্য, বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলার সুযোগসুবিধা উন্নত দেশগুলোর চাইতে ভালো। আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর নেতা অবশ্য করোনার মধ্যে তাদের দেশপ্রেম-দায়িত্ববোধ এবং জনগণের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসার নানাবিধ দলিল দস্তাবেজ খুঁজে পেয়েছেন। তারা দশগলায় বলার চেষ্টা করছেন যে, কেবল করোনার কারণে তারা তাদের নেতার জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য ১৭ মার্চ যে মহা উৎসব আয়োজন করেছিল তা আপাতত স্থগিত করার মাধ্যমে বিরাট এক দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের এই বক্তব্যের জবাবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বলার চেষ্টা করেছে যে, কোনো দেশপ্রেম-টেশপ্রেম নয় মূলত দুটো কারণে আওয়ামী লীগ তাদের উৎসব স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। প্রথম কারণ হলো, করোনার ভয়ে কোনো আমন্ত্রিত বিদেশী মেহমান বাংলাদেশে আসতে রাজি হননি। দ্বিতীয়ত, আয়োজকরা বুঝে গিয়েছিল যে, তারা জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যে দুই লাখ দর্শক জড়ো করতে চেয়েছিলেন তা করোনা আতঙ্কের কারণে দুই লাখ তো দূরের কথা দুই হাজার ম্যানেজ করা যাবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে!

সরকারবিরোধীদের উল্লিখিত বক্তব্যের জবাবে ক্ষমতাসীনরা অবশ্য কোনো উচ্চবাচ্য করেননি। তারা নিতান্ত সুবোধের মতো বলেছেন, বিএনপি করোনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। দেশে হঠাৎ করে তিনজন করোনা রোগী ধরা পড়ার পর সব কিছুতে কেমন যেন প্যাঁচ লেগে গেছে। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনা মোকাবেলার জন্য এক শত কোটি টাকা লাগবে। তার এই চাহিদাপত্র দেখে বিভিন্ন সমালোচনাকারী সামাজিক মাধ্যমগুলোতে কটাক্ষ করে বলাবলি করছে যে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আনন্দ উৎসবের জন্য যেখানে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় সেখানে করোনার মতো ভয়াবহ ভাইরাসে যখন ১৭ কোটি মানুষের জীবন বিপন্ন তখন বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র ১০০ কোটি টাকা! সরকারের বাইরের লোকেরা ১০০ কোটি টাকাকে যৎসামান্য মনে করলেও সরকারের অভ্যন্তরে কিন্তু এই ১০০ কোটি টাকার খয়-খরচা তথা জিয়াফত নিয়ে নানান ধরনের চোখ টিপাটিপি শুরু হয়েছে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব নাসিম যিনি কিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে একসময় রেকর্ড করেছেন যা রীতিমতো আরব্য উপন্যাসের গল্পকেও হার মানিয়েছে, সেই তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয় করোনা মোকাবেলায় এত দুর্বল এবং অকার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা দেখে তিনি রীতিমতো লজ্জা অনুভব করছেন।

বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী বলে পরিচয়দানকারী একশ্রেণীর ভারতপ্রেমী অবশ্য করোনাভাইরাসকে একটি অনাহত-গজব বলে মনে করছেন। তারা এই ভাইরাসটিকে কাণ্ডজ্ঞানহীন, নিষ্ঠুর এবং বাড়া ভাতে ছাইদানকারী উপসর্গ হিসেবে অভিহিত করে অভিসম্পাৎ দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা নিয়ে তাদের রাগ অভিমানের মূল কারণ হলো, এই দুর্বৃত্ত ভাইরাসের কারণে মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিল হয়েছে। অথচ মোদি বাবুর আগমন উপলক্ষে তারা কতই না স্বপ্নবাসর রচনা করে বসেছিল। তারা বাংলাদেশের অনেক রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর এবং স্থাপনাগুলো মোদি এবং অন্যান্য ভারতীয় নেতাদের নামে নামকরণ করার জন্য যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিল, তা করোনা নামক ভাইরাসটির কারণে এই দফায় ভেস্তে গেল। তা ছাড়া মোদি যদি আসতেন তবে ভারতপ্রেমীদের যে গুরুত্ব-অর্থযোগ এবং ভূরিভোজের ত্রিমাত্রিক প্রাপ্তি ঘটত তাও মাঠে মারা গেছে।

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের রাজনীতি অর্থনীতি বিয়েশাদি সামাজিক মেলামেশা ইত্যাদিতে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনীতিবিদরা আর আগের মতো হ্যান্ডসেক, কোলাকুলি এবং ক্ষেত্রবিশেষে চুমাচুমি বাদ দিয়েছেন। তারা দূর থেকে সালাম গ্রহণ করেন এবং সালাম দেন। নিজেদের বাসাবাড়িতে নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে ঢুকতে দেন না। এই শ্রেণীটির মধ্যে যারা যারা অসৎ এবং দুর্নীতিবাজ তারা করোনা আতঙ্কে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের দুর্বলচিত্ত অপরাধী মন এবং অপবিত্র দেহ ক্ষণে ক্ষণে করোনা আতঙ্কে কাঁপাকাঁপি শুরু করে দেয়। তাদের সন্দেহ হয়তো তাদের কুকর্মের কারণেই ভাইরাসগুলো বাংলাদেশে এসেছে। প্রায় একই অবস্থা অসচ্চরিত্রের আমলা কামলা ব্যবসায়ী চাঁদাবাজ মাস্তান এবং বহুরূপী মক্ষীরানী এবং তাদের দালাল ফরিয়া গডমাদার গডফাদারদের।

ব্যবসাবাণিজ্য ব্যাংক বীমা শেয়ার মার্কেট ইত্যাদিতে করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যেসব স্থানে নগদ টাকা লেনদেন হয় সেসব স্থানে পুরনো টাকাকেন্দ্রিক আতঙ্ক শুরু হয়েছে। কে বা কারা যেন বলেছে যে, টাকার মাধ্যমে করোনা বিস্তার লাভ করে। কাজেই যারা টাকা নিয়ে কাজ কারবার করেন তারা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়ে হাতে গ্লাভস পরছেন। মুখে মাস্ক লাগাচ্ছেন এবং একটু পরপর জীবাণুনাশক ক্রিম দিয়ে হাত পরিষ্কার করছেন। টাকা ছাড়া মানুষের হাঁচি-কাশি হাই কফ থুথু ইত্যাদি নিয়ে যে আদিখ্যেতা শুরু হয়েছে তা নিয়ে একসময় হয়তো মহাকাব্য রচনা হয়ে যাবে। কেউ যদি পাশে দাঁড়িয়ে একটু হাই তোলে অমনি আশপাশের লোক দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়। কেউ যদি রাস্তায় কফ বা থুথু দেখে তবে ভয়ে এমনভাবে লাফ মারে, যেন একডজন গোখরা সাপ থুথুর মধ্যে ফণা তুলে ফোঁস ফোঁস করে তার দিকে তেড়ে আসছে। অন্য দিকে, কেউ যদি হাঁচি বা কাশি দিতে আরম্ভ করে তবে তার আশপাশের লোকজন যেভাবে সন্দেহ অবিশ্বাস ও আতঙ্ক নিয়ে তাকায় তাতে মনে হয় জগৎ সংসারের আয়ুষ্কাল হয়তো আর বেশি দিন নেই।

মানুষের খাওয়া দাওয়া নিদ্রা বিশ্রাম এবং হাঁটাচলাতেও করোনার প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। লোকজন লেবু পানি গরম পানি মালটা কমলা ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়া শুরু করেছে। অন্য দিকে মাছ, গোশত, পোলাও, কোর্মা-কালিয়া, কাবাব ইত্যাদি থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করছে। বিয়েশাদির অনুষ্ঠান, গণজমায়েত ইত্যাদিতে আর আগের মতো লোকজন জড়ো হচ্ছে না। কাঁচাবাজার, বিপণিবিতান এবং পার্কে লোক সমাগম কমে গেছে। বিশেষ করে মাছ গোশতের বাজারে গিয়ে যেসব লোক মাছের ডালি উল্টিয়ে মাছ তাজা কি না অথবা মাছের পেট এবং পায়খানার রাস্তা টিপাটিপি করে মাছের অবস্থা পরখ করত তারা ভুলেও এখন ওদিকে হাত বাড়ায় না। একই অবস্থা হয়েছে গোশতের দোকানে। কিছু লোক ছিল যারা গোশত কিনতে গিয়ে টেপাটিপি করত এবং গরুর গোশতের ক্ষেত্রে ষাঁড় না বলদ নাকি গাভী তা পরখ করার জন্য বিশেষ অঙ্গ খুঁজত তারা এখন গোশত খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশের উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতিবিদরা বিশেষ করে ক্ষমতাসীনরা একধরনের কথাবার্তা বলছেন; অন্য দিকে ধর্মীয় নেতারা অন্য ধরনের কথা বলছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন দোয়া দরুদ এবং জিকির আসকারের মাধ্যমে কিভাবে করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে কথা যেমন বলছেন, তেমনি চিকিৎসার নামে নানামুখী অপচিকিৎসাও চালু হয়ে গেছে অনেক স্থানে। মাস্ক, ডেটল-স্যাভলন ইত্যাদি সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না এবং যাও পাওয়া যাচ্ছে তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা বারবার আশ্বাসবাণী শুনিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু লোকজন সেসব আশ্বাসের ওপর সামান্য বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছেন না। কারণ লোকেরা বিশ্বাসই করতে পারছে না, যে রোগটি চীনের মতো ধন-সম্পদ-প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে ঈর্ষনীয় সফল দেশটিকে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে সেই রোগ বাংলাদেশের মতো একটি দেশে এনারা মোকাবেলা করবেন যারা কিনা ডেঙ্গু মশার লেজ-হুল এবং পাখার কূলকিনারা করতে পারে না! অথবা যে দেশের অর্থমন্ত্রী চিকুনগুনিয়া মশার ভয়ে অফিসে আসেন না এবং রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী জনগণের অর্থে বিশেষ বিমানে করে বিশাল লটবহরসহ সামান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অহরহ বিদেশে যান সেই দেশের কর্তাব্যক্তিরা যদি দেশের স্বাস্থ্যসেবার ওপর ভরসা রাখতে বলেন, তবে জনগণের মনের অবস্থা কিরূপ হয় তা পুরান ঢাকার ঘোড়াগুলোর হাসি দেখলেই বোঝা যায়।

নিয়তিনির্ভর বাংলাদেশের লোকজন করোনাভাইরাস নিয়ে ত্রিমাত্রিক আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে। একদল বলছে, এই ভাইরাস এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। এগুলো আল্লাহর সৈনিক। বাংলাদেশে যেভাবে অন্যায়-অত্যাচার-অবিচার-অনাচার ইত্যাদি বেড়ে গেছে তাতে আসমানের মালিকের ক্রোধ হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য যেসব দেশে বাংলাদেশের মতো অপকর্ম হচ্ছে সেসব দেশেও করোনা আক্রমণ চালিয়েছে। অন্য দল বলছে, করোনা এসেছে মূলত বাংলাদেশে মহব্বত পয়দা করার জন্য। কারণ রোগটি ছোঁয়াচে বটে এবং দ্রুত বিস্তারকারী কিন্তু এই রোগে মৃত্যুর হার অত বেশি না। অতীতে ইবোলা কিংবা সার্স ভাইরাসে মৃত্যুর হার ছিল শতকরা আট থেকে পনেরো ভাগ। অথচ এ যাবৎকালে করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং তাদের মৃত্যুর সংখ্যা দেখে জানা যায় যে, মাত্র দুই ভাগ রোগী মারা যায়। কাজেই রোগটি প্রচুর দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে বটে কিন্তু সে তুলনায় প্রাণঘাতী নয়। এই শ্রেণীর লোকজন বলছে যে, করোনাকে কেন্দ্র করে দেশে রাজনৈতিক ঐক্য হবে। সরকার আখেরাতের কথা মনে করে এবং নিজেদের ভুলভ্রান্তি স্মরণ করে হয়তো তাদের প্রতিপক্ষের সাথে সমঝোতা করবে এবং জেল থেকে অনেককে ছেড়ে দিতে পারে; যার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস বইতে আরম্ভ করবে এবং দেশে আবারো গণতন্ত্র চালু হয়ে যাবে।

উপরক্ত দু’টি মতের বাইরে তৃতীয় মত হলো, করোনাভাইরাস দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে দেবে। ব্যবসাবাণিজ্য, লেনদেন, শিল্প-কারখানা থেকে শুরু করে ফসল উৎপাদন সব কিছুতে ধস নামবে। যেহেতু রোগটি ইতোমধ্যে ১০০ দেশে আক্রমণ করেছে, সেহেতু এটি সারা বিশ্বে মহামন্দা সৃষ্টি করে ফেলবে। অনেক দেশকে ধনী রাষ্ট্র থেকে দরিদ্র রাষ্ট্রে পরিণত করবে এবং অনেক রাষ্ট্রকে রীতিমতো ভিখিরি বানিয়ে ফেলবে। অনেক রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে এবং সেই দুর্ভিক্ষে সাহায্য করার মতো কোনো দেশ দুনিয়াতে থাকবে না। বিশ্বে তেলের দাম ও সোনার দাম বিগত ১০০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে যাবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলো মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। বিশ্বের বড় বড় শেয়ারবাজারে মহাপতন শুরু হয়ে যাবে এবং অনেক মার্কেটকে বিলুপ্ত বা দেউলিয়া ঘোষণা করতে হবে।

উল্লিখিত তৃতীয় মতের প্রবক্তাদের মতে, বিমান পরিবহন, পর্যটন এং হোটেল ব্যবসা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এই খাতের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়বে। বিশ্বের বড় বড় চেইন স্টোর, করপোরেট হাউহ, গ্রুপ ইত্যাদি অস্তিত্বসঙ্কটে পড়বে। সারা দুনিয়ায় এমন হাহাকার শুরু হয়ে যাবে যে, কোনো কোনো দেশের মানচিত্র পর্যন্ত বদলে যেতে পারে। অনেক দেশের সরকারের পতন ঘটবে- অনেক নতুন রাজনীতির সৃষ্টি হবে এবং বিশ্ব রাজনীতির মোড়লিপনারও শেষ হবে। জাতিসঙ্ঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে এবং বিশ্বের জলবায়ু মারাত্মক সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়বে।

করোনা নিয়ে ত্রিমাত্রিক আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশের একশ্রেণীর মানুষ অবশ্য যারপরনাই করোনার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে পড়েছে। তাদের মতে, করোনার কল্যাণে বাংলাদেশে মোদির আগমন প্রাকৃতিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। মোদি ছাড়াও আরো সব বিরক্তিকর বিষয় করোনার প্রভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে বিধায় লোকজন বেজায় খুশি। কিছু মানুষের অব্যাহত হম্বিতম্বি দিনরাতের মিথ্যাচার এবং উল্টাপাল্টা বকরবকর করোনার প্রভাবে আপাতত বন্ধ হয়েছে বিধায় লোকজনের কান-চোখ এবং মেজাজ-মর্জিতে বসন্তের হাওয়া লেগেছে। তাই তারা অনেকের মতো করোনাকে ভয় না পেয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ লোকজনের মতো নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি অবলোকন করার চেষ্টা করছে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

Exit mobile version