Site icon The Bangladesh Chronicle

করোনাকে হারিয়ে জিতে গেলেন ডা. আসিফুল

ডা. আসিফুল হক – ছবি : নয়া দিগন্ত

কোভিড-১৯কে প্রাণঘাতী বলা হলেও ডা. আসিফুল হক তা মানতে রাজি নন। কারণ কঠিন লড়াইয়ে করোনা তার কাছে পরাজিত হয়েছে। রোগীর সেবা দিতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া চট্টগ্রামের এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, দৃঢ় মনোবল আর সরকারের নির্দেশনা ও আইসোলেশন মেনে তিনি এখন সুস্থ।

ডা. আসিফুল হকের বাড়ি চট্টগামের বাঁশখালীর বৈলছড়িতে। ব্যাংক কর্মকর্তা বাবা মাহমুদুল হকের চার সন্তানের মধ্যে আসিফুল দ্বিতীয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ৫২ তম ব্যাচের এই শিক্ষার্থী গত বছর ১১ ডিসেম্বর নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন।

ওই হাসপাতালেই রোগীর সেবা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিলেন আসিফুল হক। ৯ এপ্রিল তার প্রথমে সর্দি ও কাশি হয়। ১১ এপ্রিলে গায়ে জ্বর আসে। ১২ এপ্রিল তিনি নিজেই ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকশনাস ডিজিসেজ এ (বিআইটিআইডি) নমুনা পরীক্ষা করান। ১৪ এপ্রিল তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে।

এর পরই বৈলছড়ির নিজ বাড়ি ও আত্মীয়ের বাড়ি ও শহরের কাতাল গঞ্জের বাসাসহ ৫টি বাড়ি ও বাঁশখালীর একটি বেসরকারী হাসপাতাল লকডাউন করা হয়। পরীক্ষা করা হয় পরিবারের আরো ৬ সদস্যের, তাদের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

ডা. আসিফুর এখনো চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আছেন। ওখানকার আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জামাল বুধবার নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, ডা. আসিফুর এখন পুরোপুরি সুস্থ। সর্বশেষ ২০ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ২১ এপ্রিল পরীক্ষর ফলাফলে করোনা নেগেটিভ এসেছে। এখন তার সবকিছুই সাভাবিক। তারপরও আজ (বুধবার) সতর্কতার জন্য আবারো নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার অথবা শনিবার এর রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ওই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে ডা. আসিফুরকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।

মোবাইলে নয়া দিগন্তের এই রিপোটারের সাথে কথা বলেছেন ডা. আসিফুল। সুস্থতার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে তিনি বলেছেন বলেছেন, যদি কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে আতংকিত না হয়ে সরকারের নির্দেশনা ও আইসোলেশন মেনে চলা ও মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে সচেতন হলেই এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।

Exit mobile version